হাসপাতালে দালালচক্র ঠেকাতে পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, তারপরেও সরকারি হাসপাতালে সক্রিয় রয়েছে দালালচক্র। চিকিৎসা করানোর নামে বা ভর্তির নামে রোগীদের কাছ থেকে মোটা টাকা নিচ্ছে দালালরা। সম্প্রতি সাগরদত্ত 🌞মেডিক্যাল কলেজ এবং এনআরএস হাসপাতালে দালালচক্রের বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। আর এবার রাজ্যের সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতাল এসএসকেএমে দালাল চক্রের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসল। এই ঘটনায় তিন দালালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গি পরীক্ষা নিয়ে সরকা🔥রি হাসপাতালে দালাল চক্রের পর্দা ফাঁস, গ্রেফতার
সরকারি হাসপাতালে দালাল চক্র রুখতে অভিযান চালায় কলকাতা প🌄ুলিশের গুন্ডা দমন শাখার আধিকারিকরা। সেখানে অভিযান চালিয়ে ওই দালালদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার এনআরএস হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ২ দলালাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃতেরা রোগী পরিবারের কাছ থেকে মোটা টাকা নিয়ে বেড পাইয়ে দিত। আর টাকা না থাকলে কিছু জিনিস গচ্ছিত রেখে দিতে বলল দালালরা। সেগুলি ছাড়ানোর পরিবর্তে তারা টাকা নিত।
যদিও সরকারি হাসপাতালে দালালচক্র এই প্রথম নয়, এর আগেও সরকারি হাসপাতালে দালাল চক্র সামনে এসেছে। বিভিন্ন সময়ে বেশ কয়েকজন দালালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারপরও দলাল চক্র সক্রিয় রয়েছে সরকারি হাসপাতালে। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। সে ঘটনার পরে দালাল চক্রের বিষয়টি সামনে আসে। জানা যায়, দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে সঠিক সময় বেড না পাওয়ার কারণে হাসপাতালে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। তখন ওই বৃদ্ধের ছেলে বিধায়ক মদন মিত্রকে ফোন করে বিওষয়টি জানান। মদন মিত্র রাতেই হাসপাতালে চলে যান। সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, কোনরকমভাবে দালাল চক্র বরদাস্ত করা হবে না। এরপরে হাসপাতালগুলিতে অভিযান চালায় পুলিশ।
এদিকে, বিধায়কের হুশিয়ারির পরে সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজে অভিযুক্তদের ছবি দিয়ে পোস্টার দেওয়া হয়। দালালচক্রের খপ্পরে যাতে কেউ না প൩ড়েন সে বিষয়ে রোগীদের সতর্ক করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, রোগীরা যাতে কোনওভাবেই দালালদের খপ্পরে না পড়েন তার জন্য সরকারি হাসপাতালে বিভিন্নভাবে প্রচার চালানো হয়। মাইকের সাহায্যে এ বিষয়ে চালানো হয়। কিন্তু, তারপরও অনেকেই দ্রুত বেড পাওয়ার আশায় দালাল চক্রের ফাঁদে পা দিচ্ছেন।