এবছর রাজ্যে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গি। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ডিসেম্বরের আগে ডেঙ্গি কমার সম্ভবনা নেই। ফলে ডেঙ্গির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গি পরীক্ষা। সাধারণত ডেঙ্গি পরীক্ষার রিপোর্ট তৈরি হতে সময় লাগে প্রায় তিন দিন। আর সেই জায়গায় মাত্রই ৬ ঘন্টাতেই নাকি দেওয়া হচ্ছে ডেঙ্গি পরীক্ষার রিপোর্ট। আর ত💖ার জন্য রোগীদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে ২৭০০ টাকা। এমনই অভিযোগ উঠেছে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।
জলপ𓆏াইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরেই এই দালাল চক্র চলছিল বলে অভিযোগ। হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মীদের কাছ থেকে এই ধরনের অভিযোগ পেয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বেশ কয়েকদিন ধরে দালালদের ধরার চেষ্টা করছিল। অবশেষে দালাল চক্রের চাঁইদের হাতেনাতে ধরে ফেলল অস্থায়ী কর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। আজ তাদে𓂃র পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সাধারণত সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গি পরীক্ষা করা হচ্ছে বিনামূল্যে। অথচ অনেক রোগীর তা জানা নেই। সেই সময় রোগীরা এই দালালদের খপ্পরে পড়ছেন বলে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে। তাদের দাবি, দালালরা মিথ্যে বলে রোগীদের কাছ থেকে মোটা টাকার বিনিময়ে ডেঙ্গি পরীক্ষা ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করাচ্ছে। এর পিছনে হাসপাতালে কর্মীদের একাংশের যোগ রয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অভিযোগ, দালালরা রোগীদের যেভাবে ডেঙ্গি পরীক্ষা করাচ্ছে সেগুলি অবৈজ্ঞানিক। যদিও হাসপাতালের পাশে থাকা ল্যাবগুলি এবিষয়ে মুখ খুলতে চায়নি। এ ব🗹িষয়ে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের উপ অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, লিখিত অভিযোগ পেলে নিশ্চয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে। এখানে অত্যাধুনিক ল্যাব রয়েছে। সমস্ত পরিষেবা বিনামূল্যে দেওয়া হয়।