পার্থে ঐতিহাসিক টেস্ট জয় ভারতের। অধিনায়ক হিসেবে দলকে নেতৃত্ব দিতে পেরে খুশি জসপ্রীত বুমরাহও। সদ্য পুত্র সন্তানের পিতা হয়েছেন রোহিত শর্মা। সেই কারণে ভারত-অস্ট্রেলিয়া প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলতে দেখা যায়নি তাঁকে। তবে ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছে গেছেন তিনি। অন্যদিকে পার্থের এই টেস্ট ম্যাচ দেখার জন্য গ্যালারিতে উপস্থিত ছিল জসপ্রীত বুমরাহের স্ত্রী এবং সন্তান। ২৯৫ রানে অজিদের বিরুদ্ধে টেস্ট জয়ের সাক্ষী থাকতে পেরেছে তারাও। আর তাই সব কিছু মিলিয়ে ম্যাচের শে🐭ষে সাংবাদিক সম্মেলনে বেশ আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন বুমরাহ। তিনি জানান, তাঁর সন্তান এখনও অনেক ছোট। তবে সে যখন বড় হবে তখন তাকে এই সব জয়গুলি কাহিনি আকারে শোনাবেন বলে জানান বুমরাহ।
বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির প্রথম টেস্টে বল হাতে দুরন্ত পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন জসপ্রীত বুমরাহ। তিনি প্রথম ইনিংসে ৩০ রান দিয়ে ৫ উইকেট এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৪২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। এই অনবদ্য পারফরম্যান্সের কারণে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন বুমরাহ। পার্থ টেস্ট জয় প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা একটা খুবই স্পেশাল জয়। অধিনায়ক হিসেবে এটা আমার প্রথম জয়। আমার সন্তান এখানে উপস্থিত রয়েছে। আমি তার সঙ্গে এই জয় উপভোগ করব। এই টেস্টটা অনেকদিন ধরে আমার মনে থাকবে। সব মিলিয়ে এটা আমার কাছে খুবই বিশেষ একটা মুহূর্ত।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘সে এখন খুবই ছোট, যখন বড় হবে তাকে বলার জন্য আমার কাছে অনেক কাহিনি থাকবে। আমি তাকে তখন বলব তুমি ছোট ছিলে যখন আমরা পার্থে টেস্ট জিতেছিলাম। ও আমার সঙ্গে টি-২০ বিশ্বকাপের সময়ও ছিল। তবে ওর এখনও এসব বুঝে ওঠার মতো বয়স হয়নি। যখন সে বড় হবে আমি তাকে এগুলি শোনাব, বলব তুমি এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলিতে স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিল๊ে।’
ব্যক্তিগত ভাবেও বুমরাহের কাছে এই টেস্ট জয় যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। তিনি সেই প্রসঙ্গে বলেন, ‘খুবই গর্বিত মনে হচ্ছে নিজেকে। এটা আমার অধিনায়ক হিসেবে দ্বিতীয় ম্যাচ ছিল। এর আগে বার্মিংহামে অধিনায়ক ছিলাম আমি। সেখান থেকেও আমি অনেক কিছু শিখতে পেরেছিলাম।’ প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ার পরেও এতো রানে ম্যাচ জিততে পারাটা খুবই গর্বের বিষয় ভারতীয় শিবিরের জন্য। বুমরাহ এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি খুশি দল যꦰেইভাবে কামব্যাক করেছে। ব্যাটার এবং বোলাররা যেই ভাবে নিজেদের পারফরম্যান্স দিয়েছে তা আমার মন জয় করেছে।’