মাস পড়েছে। কিন্তু বেতন হয়নি। এমনই অভিযোগ উঠেছে ডায়মন্ডহারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ে। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে ঝামেলা। সাধারণত মাসের ১ তারিখেই বেতন পেয়ে যান শিক্ষক–শিক্ষিকারা। সেখানে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, শিক্ষিকাদের বেতনের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ আধিকারিককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে হল। এই ঘটনায় রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গি🀅য়েছে। কেন ১ তারিখ বেতন হল না? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে চলে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ডায়মন্ডহারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই আধিকারিককে দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও করে রাখেন শিক্ষিকারা। কিন্তু এমন কাজ শিক্ষিকাদের করতে হবে তা তাঁরা কল্পনাও করতে পারেননি। কিন্তু বেতন না পেয়ে বাধ্য হয়ে এই পথে হেঁট🐼েছেন। বেশ কিছু সময় ঘেরাও করার পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে ঘেরাও তুলে নেন তাঁরা। আসলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকেও কোনও সদুত্তর আগে মেলেনি। যেটা ঘেরাও করার পর মিলল। জানুয়ারি মাসের বেতন এখনও ব্যাঙ্কে না ঢোকায় এই ঘেরাও, বিক্ষোভ করেন শিক্ষিকারা। এই ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়ে খবর দেন শিক্ষিকারাই।
অন্যদিকে ডায়মন্ডহারবার বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, এখানে ৬৬ জন শিক্ষিকা, তিন জন অফিসার এবং ১৯ জন শিক্ষাকর্মী আছেন। প্রত্যেক মাসের শেষ তারিখে বেতন নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকে যায়। আর মাস শুরুর দিনেই বেতন পান 𓆏সকলে। কিন্তু জানুয়ারি মাস পেরিয়ে এবার ফেব্রুয়ারি মাস শুরু হলেও কারও বেতনের টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি। তাই ক্ষোভে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ আধিকারিক বংশীবদন গড়াইয়ের ঘরে যান শিক্ষিকারা। তাঁকে ঘেরাও করে রাখেন দীর্ঘক্ষণ।
আরও পড়ুন: ‘নবদ্বীপ ধাম হেরিটেজ টাউন হচ্ছে’, নির্মলার ধর্মীয় পর্𒁏যটনের জবাব দিলেন মমতা
এই ঘেরাওয়ের ঘটনা ঘটতেই🤡 বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সরগরম হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করতে থাকে। অর্থ আধিকারিককে তার আগে বিষয়টি জানার জন্য একাধিকবার ফোন ও মেসেজ করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি কোনও জবাব দেননি বলে অভিযোগ। আর শিক্ষিকারা জানান, বাধ্য হয়েই ঘেরাও করতে হয়। শনিবারের মধ্যে বেতন না পেলে সোমবার থেকে আবার অর্থ আধিকারিকের ঘরের সামনে অবস্থান, বিক্ষোভ, ঘেরাও শুরু হবে। এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক সাইদুর রহমান বলেন, ‘কোনও কারণে বেতন আটকে গিয়েছে। দ্রুত পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’