চাপের মুখেও তৃণমূলের দুর্নীতিতে সামিল হননি। সেকারণেই শনিবার ভোররাতে তাঁর বাড়িতে হামলা চালিয়েছে পুলিশ ও তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এমনটাই দাবি সন্দেশখালি থানা এলাকার খুলনা গ্রাম পঞ্চায়েতের শীতলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ভূজঙ্গ দাসের। তিনি বলেন, তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান সত্যজিৎ সান্যাল আমার সব কিছু শেষ করে দিয়েছে। কিন্তু ওই পা𒅌পের টাকা আমার ধর্মে সইবে না।
শনিবার ভোর রাতে ভূজঙ্গবাবুর বাড়িতে আসে পুলিশ। সঙ্গে ছিল একদল মত্ত তৃণমূলি দুষ্কৃতী। অভিযোগ দরজায় পর পর লাথি মারে তারা🌜। দরজা না খোলায় জানলা ভেঙে শ্লীলতাহানি করে তাঁর স্ত্রী। এমনকী ছ মাসের শিশুকন্যাকে মায়ের কোল থেকে টেনে ছুড়ে ফেলে দেয়।
কিন্তু কেন হামলা হল ভূজঙ্গবাবুর বাড়িতে। তিনি বলেন, 'আমার গোটা পরিবার বিজেপিকে সমর্থন করে। তাছাড়া আমি একটা কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্ট চালাই। সেই কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টকে ব্যবহার করে ১০০ দিনের কাজের টাকা আত্মসাৎ করার পরিকল্পনা করেছিল শিবু হাজরা, সত্যজিৎ সান্▨যালরা। ভূজঙ্গবাবু অভিযোগ করেন, কেউ ১০ দিন কাজ করলে তার অ্যাকাউন্টে ২০০০ টাকা ঢোকার কথা। কিন্তু কারচুপি করে তৃণমূল নেতারা ১০০০০ হাজার টাকা ঢুকিয়ে দিতেন'।
ভূজঙ্গবাবুর দাবি, ‘এর পর🍰 তৃণমূল নেতারা আমাকে চাপ দিয়ে বলতেন, গ্রাহককে না জানিয়ে তাদের টিপ ছাপ নিয়ে এই বাড়তি ৮০০০ টাকা গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে তৃণমূল নেতার অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিতে হবে। এর বিনিময়ে আমাকে ২০ শতাংশ কমিশন দেবে। কিন্তু আমি এই দুর্নীতিতে সামিল হতে রাজি হইনি। আমাকে ২০১৯ সাল থেকে চাপ দিচ্ছে তৃণমূল। কিন্তু আমার তো চলে যাচ্ছে। এই পাপের টাকা আমার ধর্মে সইবে না’।
র🌄াজ্যে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির তদন্তে সম্প্🌌রতি সক্রিয় হয়েছে ইডি ও সিবিআই। এবার দেখার, এই তদন্তে তারা সন্দেশখালি পৌঁছয় কবে।