বহিরাগত প্রসঙ্গে ফের একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফ্রন্ট ফুটে আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার হাওড়ার আমতায় এক জনসভায় দিলীপবাবু বলেন, ‘বহিরাগত’ তত্ত্ব খাඣড়া করে বিভাজন🐎ের রাজনীতি করছেন দিদিমণি। সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, পঞ্জাবি বউমা সোনা আনে বলে কি সে বহিরাগত নয়?
এদিনের সভায় শুরু থেকেই দিলীপ ঘোষের সুর ছিল চড়া। বহিরাগত প্রসঙ্গে তৃণমূলকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, ‘গুজরাত থেকে এসে অমিত শাহ, মোদীজি ভোটে জেতালে বহিরাগত, আর বিহার থেকে এসে ভোটে জেতালে তিনি বহিরাগত নয়? নিজের বাড়িতে পাঞ্জাবি বউ নিয়ে এসেছেন সেটা বহিরাগত নয়? কেন সোনা নিয়ে আসে, সেইজন্য না কি? আমাদের কার্যকর্তারা আসছেন🌳, কৈলাসজি, শিবপ্রকাশজি, তাঁরা বহিরাগত হয়ে যাচ্ছেন’।
ভিন প্রদেশ ও ভিন ভাষার মানুষ কী ভাবে বাঙালিকে গ্রহণ করেছে এদিন তাও স্মরণ করান দিলীপবাবু। বলেন, ‘পশ্চিমবাংলায় বসে জাতীয় সংগীত লিখেছেন রবীন্দ্রনাথ, বন্দেমাতরম লিখেছেন বঙ্কিমচন্দ্র। সারা দেশের মানুষ গ্রহণ করেছে। এখানকার বিপ্লবীরা সারা দেশে গিয়ে বিপ্লব করেছেন। আমাদের রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সংঘের সন্ন্যাসীরা সারা দেশে গিয়ে মঠ প্রতিষ্ঠা করেছেন। সারা দেশের লোক সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করেছে। এই লক্ষ লক্ষ শ্রমিক বাইরে গিয়ে কা🅺জ করছে, কেউ একবার বলেনি বাঙালিদের বহিরাগত। বিহার, উত্তর প্রদেশ থেকে যে শ্রমিকরা এসে পশ্চিমবাংলাকে তৈরি করেছিল, তাদের বলছে বহিরাগত’?
ভিন রাজ্য ও ভিনদেশ থেকে আসা নানা ব্যক্তিত্বের পশ্চিমবঙ্গের প্রতি অবদান স্মরণ করান রাজ্য বিজেপি সভাপতি। বলেন, ‘বিড়লা, গোয়েঙ্কা, জিন্দল, মিতಞ্তল এরা এখানে কারখানা তৈরি করেছে 🌊বলে আজ চাকরি পেয়েছে লোকে। তারা বহিরাগত হয়ে গেল আজ? আশ্চর্য তত্ত্ব, আমরা তো সারা ভারতের লোককে গ্রহণ করেছি এখানে। ভারতের বাইরে লোককে নিয়ে এসেছি। নিবেদিতাকে আমরা সিস্টার বলি, টেরেজাকে আমরা মাদার বলি। বিদেশ থেকে এসেছেন এমন মানুষকে আমরা মাদার – সিস্টার বলেছি। আর দিদিমণি ভারতবর্ষের মানুষকে বহিরাগত বলছেন’?
মুখ্যমন্ত্রীর মুখে বহিরাগত তত্ত্ব 🍒বাঙালিকেই বিপদে ফেলবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, ‘এই কথা শুনে যদি বাঙালি ছেলেরা যারা বাইরে কাজ করে তাদের বহিরাগত বলা শুরু করে… ৪০ লক্ষ যুবক যদি রাজ্যে ফিরে আসেন। কাজ, রেশন দিতে পারবেন দিদিমণি? আপনি পারেন না তাই ঝামেলা বাঁধিয়ে দেন’।🍸
দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, ‘তাই পাহাড়ে গিয়ে বাঙালি গোর্খা লড়াই বাঁধিয়ে দিয়েছেন। উত্তরবঙ্গে রাজবংশী আর বাঙালি করে দেন, এখ🐠ানে মতুয়া আর উচ্চবর্ণ করে দেন। জঙ্গলমহলে গিয়ে আদিবাসী বাঙালি লড়াই বাঁধিয়ে দেন। এই যে ওনার বিভাজনের র🔯াজনীতি, এর শেষ করতে হবে’।
হাওড়া শহুরে এলাকায় ইতিমধ্যে তৃণমূলে ভাঙন ধরেছে। দল ও মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন লক্ষ্মীরতন শুক্ল। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তৃণমূলের বিচ্ছে🦩দ সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করা হচ্ছে। তবে মুসলিম অধ্যুষিত গ্রামীণ হাওড়ার অবস্থা অপেক্ষাকৃত ভাল। এদিন সেখা💎নে দাঁড়িয়েই তৃণমূলকে বেঁধেন দিলীপ।