সম্পর্কে মামী। কিন্তু তাতে কি প্রেম হয় না? এমন প্রশ্ন উঠছে কারণ সেই মামীর সঙ্গেই নিজের স্বামীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। যা নিয়ে প্রতিবাদ করলে কপালে জুটত মারধর। গৃহবধূর স্বামী আবার সম্পর্কে ভাগ্নে। এই পারিবারিক সম্পর্কের মধ্যেই অবৈধ সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি নববধূ। তাই বিয়ের পাঁচ মাসের মাথায় গৃহবধূ আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অ🔯ভিযোগ উঠেছে। যদিও গৃহবধূর বাপের বাড়ির অভিযোগ, তাঁদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। গৃহবধূর শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
প𒁃ুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম সোনালি মজুমদার। সোনালির সঙ্গে পাঁচ মাস আগে বিয়ে হয়েছিল তরুণের। সোনালির এটা দ্বিতীয় বিয়ে। তরুণেরও এটি দ্বিতীয় বিয়ে। তরুণের সঙ্গে তাঁর মামীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ জমা পড়েছে। সেটি জানতে পেরে সোনালি প্রতিবাদ করলে তাঁকে মারধর করা হতো। সোনালি এই ঘটনা তাঁর বাপের বাড়ির সদস্যদের জানিয়েছিলেন। ওই গৃহবধূর গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয়। গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। নদিয়া জেলার শান্তিপুরের ফুলিয়ার চাপাতলা সরকারপাড়ার তরুণ মজুমদারের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল। গৃহবধূ সোনালির বাপের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার পারমাদন গ্রামে।
পরিবারের অভিযোগ ঠিক কী? গৃহবধূর পরিবারের অভিয🌠োগ, তাঁদের মে♊য়েকে খুন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে শাশুড়িকে আটক করেছে পুলিশ। তবে ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত স্বামী তরুণ মজুমদা𝓡র পলাতক। খোঁজ নেই ওই মামীরও। গৃহবধূর বাবা বিশ্বনাথ কর্মকার বলেন🍸, ‘গতকালই সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ সোনালি ফোন করেছিল। বলেছিল আর বেশিদিন বাঁচব না। এই বলেই ফোন কেটে দেয় মেয়ে। বেলা ১১টা নাগাদ মেয়ের শ্বশুরবাড়ির প্রতিবেশীরা খবর দেন মেয়ে নাকি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।’ তখন সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা মেয়ের শ্বশুরবাড়ি রওনা দেন।
তারপর ঠিক কী 𒊎ঘটল? তারপরই তাঁরা শান্তিপুর থানায♏় গিয়ে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে শাশুড়িকে আটক করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ। সোনালির দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। সেখানের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জামাই–মামীর অবৈধ সম্পর্কের জেরে তাদের মেয়েকে এভাবে বলিদান দিতে হল বলে এখন শোকের ছায়া নেমে এসেছে।