সরকারি হাসপাতালের মধ্যে বেআইনি পার্কিংয়ের রমরমা। এর জেরে নির্দিষ্ট সময়ে হাসপাতালে নিয়ে পৌঁছানো সম্ভব হল না অ্যাম্বুলেন্সে জন্মানো সদ্যোজাতকে। ফলে মৃত্যু হল ওই শিশুর। এমনই ঘটনা ঘটেছে আলিপুর জেলা হাসপাতালে। ঘটনাকে কেন্দ্র ক♔রে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় রোগী পরিবারের তরফে হাসপাতাল সুপারকে অভিযোগ জানানো হয়েছে। ঘটনায় ফের সরকারি হাসপাতালে বেআইনি পার্কিং নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: স📖াততলার সিঁড়ির রেলিং থেকে পড়ে𒊎 শিশুর মৃত্যু, বালিগঞ্জে মর্মান্তিক ঘটনায় আলোড়ন
জানা গিয়েছে, প্রসূতির নাম সুস্মিতা সাঁওতাল। তিনি কালচিনি ব্লকের রাঙ্গামাটি এলাকার বাসিন্দা। প্রসব যন্ত্রণা শুরু হওয়ার পরেই তাঁকে প্রথমে ওই ব্লকের রাঙ্গামাটি চা বাগানের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে♋ দুদিন ধরে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে শুক্রবার সকালে তাঁকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় লতাবাড়ি হাসপাতালে। কিন্তু, সেখানে তার অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে। তখন তাকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়।&𝔉nbsp;
সেইমতো শুক্রবার সকালে পরিবারের সদস্যরা অ্যাম্বুলেন্সে করে প্রসূতিকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই ঘটে বিপত্তি। কারণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় অ্যাম্বুলেন্সেই সন্তানের জন্ম দেন প্রসূতি। তখন তড়িঘড়ি প্রসূতিকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেখ𒉰ান থেকে প্রসূতিকে মাদার এন্ড চাইল্ড হাবে নিয়ে যেতে বলা হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথেই ঘটে বিপত্তি। কারণ হাসপাতালের রাস্তায় বাইক এবং সাইকেল দাঁড় করানো ছিল। তার ফলে সেখানে নিয়ে যেতেই সময় লেগে যায় আধ ঘণ্টার কাছাকাছি সময়।
এদিকে, সময় নষ্ট হওয়ায় সদ্যোজাতের অবস্থা খারাপ হয়ে ওঠে। শেষমেষ শিশুকে সেখানে নিয়ে গিয়ে আইসিইউতে রাখা হয়। কিন্তু, শিশুকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের দাবি, সময় নষ্ট না হলে সদ্যোজাতকে বাঁচানো সম্ভব হত। এ নিয়ে হাসপাতালের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অ্যাম্বুল্যান্সের চালকসহ পরিবারের সদস্যরা। তাদের দাবি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গা ছাড়া মনোভাবের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রসূতি মৃত সন্তান প্রসব করেছেন। হা🅷সপাতাল সুপারের দাবি, বেআইনি পার্কিং রুখতে হাসপাতালে নিয়মিত অভিযান চালানো হয়। ফলে বেআইনি পার্কিং ছিল না।