সাফল্যের সঙ্গে 'গাইডেড পিনাকা ওয়েপন সিস্টেম'-এর পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ সম্পন্ন করল ভারতে♌র প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা বা ডিআরডিও। তথ্যাভিজ্ঞ মহল বলছে, এই সাফল্যে অস্ত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে ভারতের স্বনির্ভরতার প্রশ্নে এক নয়া মাইলফলক তৈরি করল।
সূ𓄧ত্রের দাবি, 'প্রভিশনাল স্টাফ কোয়ালিটেটিভ রিকোয়ারমেন্ট' (পিএসকিউআর)-এর অধীনে এই ধরনের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণগুলি করা হচ্ছে। যাতে বোঝা যায়, বাস্তব ক্ষেত্রে এই ধরনের ⛄অস্ত্রগুলি কতটা কার্যকর হবে।
অর্থাৎ, সংশ্লিষ্ট অস্ত্রগুলি কত দূরের এবং কত সংখ্যক লক্ষ্যবস্তুতে, কতটা সঠিকভাবে এবং একসঙ্গে পরপর কতবার আঘাত হানতে পারবে - এই পরীཧক্ষামূলক উৎক্ষেপণের মাধ্যমে সেসবই যাচাই করে দেখা হচ্ছে।
এই প♍রীক্ষামূলক উৎক্ষেপণগুলি যদি সফল হয়, তাহলে আগামী দিনে এই অস্ত্রগুলি﷽ ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হবে।
একাধিক পর্যায়ে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ:
সংশ্লিষ্ট পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণগুলি মোট তিনটি পর্যায়ে করা হয়েছে। প্রতিবার সেগুলি আলাদা-🍷আলাদা ফায়ারিং রেঞ্জে করা হয়। যাতে এই গাইডেড পিনাকা ওয়েপন সিস্টেম ঠিক কতটা শক্তিশালী, তা যথাযথভাবে বোঝা সম্ভব হয়।
তথ্য বলছে, প্রত্যেকটি উৎপাদক সংস্🐓থার মোট ১২টি করে রকেট পরীক্ষামূলকভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এগুলির জন্য দু'টি উন্নতমানের পিনাকা উৎক্ষেপক ব্যবহার করা হয়েছে।
তাতে যে ফলাফল সামনে এসেছে, ▨তা অত্যন্ত ইতিবাচক। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এই ওয়েপন সিস্টেমটি যেকোনও মুহূর্তে বাস্তব প্রয়োগের জন্য একেবারে প্রস্তুত রয়েছে। এই ব্যবস্থাপনায় নির্দিষ্টভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা সম্ভব এবং সালভো মোডের মাধ্যমে একাধিক লক্ষ্যবস্তুকেও নিশানা করা সম্ভব।
সূত্রের খবর, এই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের অন্যতম অংশ হল - পিনাকা এমকে-২ রকেট। যার পাল্লা বাড়িয়ে ৬০ কিলোমি𝔍টার করা হয়েছে।
ভারতীয় প্রযুক্তি এবং যৌথ উদ্যোগ:
গাই🦂ডেড পিনাকা ওয়েপন সিস্টেম সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। এর নেপথ্যে ডিআরডিও-র যে গবেষণাগারগুলি রয়েছে, সেগুলি হল - আর্মামেন্ট রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট এসট্যাবলিশমেন্ট (এআরডিই), রিসার্চ সেন্টার ইমারত (আরসিআই) এবং ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট ল্যাবরেটরি (ডিআরডিএল)।
অস্ত্রের উৎপাদন সংক্রান্ত বিষয়গুলি পরিচালনার দায়িত্বে ছিল - মিউনিশন ইন্ডিয়া লিমিটেড এবং ইকোনমিক এক্সপ্লোশন লিমিটেড। অন্যদিকে, পিনাকা উৎক্ষেপক বা লঞ্চার এবং সেগুলির সহযোগকারী যন্ত্রাংশের নকশা তৈরি করার দায়িত্ব🦂 দেওয়া হয়েছিল টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমস লিমিটেড এবং লারসেন অ্যান্ড টার্বো-কে।
এই সাফল্য প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারতের 'মেক ইন ইন্ডিয়া' নীতি༺🐻কে এক ধাক্কায় অনেকটা পথ এগিয়ে দিল বলেই দাবি করছে সংশ্লিষ্ট মহল।