হুগলি নদীতে তলিয়ে যেতে বসেছে গোটা একটি বাজার, কয়েকশো দোকান–সহ বহু জনপদ। এই অবস্থা দেখা গিয়েছে, সাতগাছিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের হুগলি নদীর তীরবর্তী কাশীপুর–আলমপুর, দক্ষিণ রায়পুর এবং গজপোয়ালি পূর্ব গ্রাম পঞ্চায়েত জুড়ে ভাঙন। এই পরিস্থিতির জেরে ওই এল🦩াকার মানুষের রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। কখন কার জমি, ভিটে বা দোকান নদীগর্ভে চলে যাবে সেই আতঙ্কে তটস্থ গ্রামবাসীরা। তার মধ্যে আসছে সিত্রাং ঘূর্ণিঝড়। সব মিলিয়ে চাপে গ্রামীণ মানুষেরা।
ঠিক কী বলছেন গ্রামবাসীরা? কাশীপুর–আলমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা হরি মণ্ডল বলেন, ‘বসতভিটে তলিয়ে গেলে থাকব কোথায়? এই দিন দেখতে হবে কখনও ভাবিনি। আগে এভাবে নদী ভাঙন হয়নি। গত কয়েক বছর ধরে পরপর প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে এখন হুগলি নদীর পাড় ভেঙে গ্রামের দিকে 🙈এগিয়ে আসছে। আর সেই এগিয়ে আসার গতি দেখেই আতঙ্ক গ্রাস করেছে গ্রামবাসীদের।’ রায়পুর বাজারের দোকানদার সঞ্জীব রায় বলেন, ‘🥂নদীর পাড়ের দিকে বাজারের অনেক দেওয়ালে ফাটল ধরেছে। যে কোনওদিন রায়পুর বাজারের ৪০০ দোকানই তলিয়ে যেতে পারে।’
আর কী জানা যাচ্ছে? প্রশাসনের পক্ষ♔ থেকে কয়েকটি স্লুইস গেটের উন্নতিসাধন ছাড়া দীর্ঘ এই ১০ কিলোমিটার এলাকায় নদীর ভাঙন রোধে স্থায়ী কোনও ব্যবস্থা এখনও নেওয়া হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এখানে জো🌠ড়াতাপ্পি দিয়ে কাজ হয়েছে। সুতরাং ভরা কোটালের জলোচ🦹্ছ্বাসে ফের নদীর পাড় ভাঙতে শুরু করে।
কী বক্তব্য পঞ্চায়েত সমিতির? এই বিষয়ে বজবজ ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ–সভাপতি বুচান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘১০ কিলোমিটার নদীর পাড় রাতারাতি পাকাপোক্ত করে গড়ে তোౠলা অসম্ভব। তবুও আমরা আপাতত স্লুইস গেটগুলিকে সারিয়ে তোলার চেষ্টা করছি। যাতে জলোচ্ছ্বাসের সময়ে জল ঢুকলেও তা আবা▨র নদীতে ফিরিয়ে দেওয়া যায়। সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্থায়ী স্লুইস গেটের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এখনও কয়েকটি স্লুইস গেট তৈরি বাকি রয়েছে। তবে মানুষ এখন এই নদী ভাঙনের স্থায়ী সমাধান চায়।’