বাংলায় সদস্য সংগ্রহ কেমন চলছে বিজেপির? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলা জুড়ে। কারণ এখন মানুষ আর আবেগে গা ভাসাচ্ছেন না। প্রধান বিরোধী দল হওয়ার পর যে আবেগ তৈরি হয়েছিল মানুষজনের মধ্যে সেটা এখন আর নে🅰ই। কারণ সচেতন মানুষজন দেনাপাওনার হিসেব কষে সরে দাঁড়িয়েছেন। তাই বঙ্গ–বিজেপি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে গিয়ে নাকানিচোবানি খাচ্ছে। নয়াদিল্লির নির্দিষ্ট করে দেওয়া টার্গেটের দোরগোড়াতেও পৌঁছতে পারেনি বঙ্গ–বিজেপি। তাই এখন সহ্য করতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মুখঝামটা। এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে ‘টোপ’ দেওয়ার পথে হাঁটছেন গেরুয়া শিবিরের রাজ্য নেতারা বলে সূত্রের খবর।
উত্তরবঙ্গের একটা অংশ বাদ দিলে সমতলে সেভাবে 𝓡সদস্য সংগ্রহ করা যায়নি বলে জানা যাচ্ছে। আবার পূর্ব মেদিনীপুর ছাড়া অন্যান্য জেলায় তেমন সাড়া পাননি বঙ্গের নেতারা। সংগঠনের নেতা থেকে বিধায়ক, সাংসদকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে। এমনকী যে দিলীপ ঘোষকে সাইড করে দিয়েছে পদ্মপার্টি তাঁকেও নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক বিজেপি বিধায়ককে অন্তত পাঁচ থেকে দশ হাজার নতুন সদস্য সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। আর তবেই মিলতে পারে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের টিকিট বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: টাস্ক ফোর্সের অভিযানে লাভ হল না মধ্যবিত্তের, আলুর দাম অগ্নিমূল্যই, শহর–জেলায় নাভিশ্বাস
রাজ্যে বিজেপির সাংগঠনিক দৈনদশা এভাবে দেখতে পেলেও তা স্বীকার করতে চাইছেন না বিজেপির রাজ্য নেতারা। তবে তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন, টার্গেট পূরণ না হলে মিলবে না ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের টিকিট। দলের বিধায়কদের এই বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। যদিও নিজে মুখে এই কথা কেউ স্বীকার করছেন না। আগামী বিধানসভা ভোটে টিকিট পেতে এখন থেকেই নেতারা জ্যাক গুঁজতে শুরু করেছেন। বিশেষ করে যাঁরা এখন বিধায়ক রয়েছেন তাঁদের যেন বাদ দেওয়া না হয় তাই এইജ উদ্যোগ। আর সেটারই সদ্ব্যবহার করেছেন বঙ্গ–বিজেপির নেতারা।
তাহলে কি টিকিট পাওয়ার যোগ্যতা সদস্য সংগ্রহে লক্ষ্যপূরণ? উঠছে প্রশ্ন। বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান কর্মসূচি শেষ হওয়ার কথা আগামী ৩০ নভেম্বর। তার মধ্যে ১ কোটি সদস্য সংগ্রহ করা কার্যত মুশকিল। এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘পার্টির কর্মসূচি চলতেই থাকে। সদস্য সংগ্রহ থেকে জনসংযোগের কাজ আমরা করেই যাই। এটাই আমাদের পার্টির নিয়ম। আর লক্ষ্যপূরণ হবে কি হবে না সেটা সময় বলবে। কাজ আমরা করে চলেছি।’ সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ১৯ লক্ষের বেশি সদস্য সংগ্রহ করতে পারেনি বঙ্গ–বিজেপি। ফলে চাপ বাড়ছেౠ রাজ্য বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের উপর। সুতরাং বঙ্গ–বিজেপির ভবিষ্যৎ অস্তিত্ব সংকটে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।