দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বন্যা দেখা যায়। একদিকে নাগাড়ে বৃষ্টি অপরদিকে ডিভিসির ছাড়া জল বানভাসি পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া, কোলাঘাট, মেচেদা সর্বত্র হাহাকার শোনা যাচ্ছিল। দুর্গাপুজো যে ভাল কাটবে না সেটা বোঝাই যাচ্ছিল। এইসব এলাকার বাসিন্দারা 🐷দুর্গাপুজোয় মেতে উঠতে পারেননি আনন্দে। কারণ উৎসবের আবহে তাঁদের যে সব হারিয়ে গিয়েছে প্রকৃতির ভয়াল গ্রাসে। গ্রামীণ অর্থনীতি জোর ধাক্কা খেয়েছে। তাই অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর দুর্গাপুজো বন্যা কবলিত এলাকায় আনন্দঘন হয়ে ওঠেনি।
জলস্ফিতির জেরে কংসাবতী নদী বাঁধের চারটি জায়গা ভেঙে যায়। তার জেরেই গোটা পাঁশকুড়া জলের তলায় চলꦓে যায়। বন্যার জেরে বাড়ির ক্ষতি হয়েছে মোট ৫০০টি। এমন আবেদনই জমা পড়েছে ব্লক প্রশাসনে। রাস্তার ক্ষতিও হয়েছে। যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা। এখনও জলমগ্ন রয়েছে পাঁশকুড়ার একাধিক গ্রাম। বাঁধ যখন ভেঙে যায় তার পরেই ছিল দুর্গাপ๊ুজো। সুতরাং সবটা সামলে উঠতে পারেননি দুর্গত বাসিন্দারা। তাই দুর্গাপুজোতে ভালভাবে অংশ নিতে পারেননি। অন্যান্য বছর দুর্গাপুজোর চারদিন পাঁশকুড়া এলাকার মণ্ডপগুলিতে উপচে পড়ে ভিড়ে। এবার তা দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: প্রতিবাদী ব্যাজ পরে দুর্গাপুজো কার্নিভালে আটক ডাক্তার, ছাড়া পেয়ে একই ফর্মে তপোব্রত
পূর্ব মেদিনীপুরের গ্রামীণ এলাকার মানুষজনের দুর্গাপুজো কেটেছে ঢিমেতালে। পাঁশকুড়া এলাকার বাসিন্দা অচিন্ত্য শাসমল বলেন, ‘এখনও আমার বাড়ির সামনে বন্যার জল রয়েছে। তা সত্ত্বেও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কিছু মণ্ডপে গিয়েছিলাম।’ আর সুকান্ত বেরার কথায়, ‘আমাদের এলাকা ভয়াবহ বন্যা বিধ্বস্ত। এখন জল অনেকটা নেমেছে। এই বন্যার জেরে মানুষজন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আমার বাড়ির সামনের দুর্গাপুজো মণ্ডপে এবার তেমন ভিড় হয়নি। দুর্গাপুজো উদ্যোক্তারা অনুষ্ঠানেও কাটছাঁট করেছেন।’ পরের বছর এমনটা হবে না বলেই আশা করছেন তাঁরা। কারণ ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দুর্গাপুজো পড়েছে। তখন আবহাওয়া ভাল থ🐷াকে। তাই আশা করা যাচ্ছে পরের বছর তাঁরা আনন্দ করতে পারবেন।