দুর্গাপুজোয় দেখা গেল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃশ্য। আসলে এটাই তো দেশের সংবিধান থেকে শুরু করে সংস্কৃতিতে বরাবর দেখা গিয়েছে। এখন বিভাজন দেখা যাচ্ছে বিজেপির দৌলতে বলে তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি। আর এখানে হিন্দু দেবী দুর্গাপুজোর আয়োজন করে মুসলিম সম্প্রদায়। যা বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে। তবে এই দুর্গাপুজোর মূল 🦄আয়োজক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কাজল শেখ। গ্রামের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের দুঃখ ছিল দুর্গাপুজো নিয়ে। আর সেটা মোছাতে কাজল শেখ নিজেই পাপুরি গ্রামে শুরু করেন দুর্গাপুজো। সেই দুর্গাপুজো আজ♛ পার করল ১২ বছর। এই বছরও ধুমধাম করে পালিত হল ১২তম বর্ষপূর্তি।
এদিকে এখন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। তাঁর হাত ধরেই শুরু হয়েছিল এই দুর্গাপুজো। তখন সেভাবে প্রচারের আলোয় আসেনি। সেক্ষেত্রে গ্রামের মানুষের বাইরে অনেকেই এই দুর্গাপুজো সম্পর্কে জানেন না। তবে এই বছর এই দুর্গাপুজোই রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই দুর্গাপুজোর মধ্যে দিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা তুলে ধরেছে নানুরের পাপুরি গ্রাম। মুসলিম অধ্যুষিত নানুরের পাপুরি গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ কার্যত হাতেগোনা। সেখানে দুর্গাপুজোর চারটে দিন স্তোত্রধ্বনি শোনা যায়। তখন গ্রামের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন মাথার ফেজ টুপি খুলে পুজো দেখেন। আর পবিত্র আজানের সময়ও দুর্গাপুজো কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে। দীর্য ১২ﷺ ধরে এমনটাই চলে আসছে।
অন্যদিকে এখানে দুই সম্প্রদায়ের মানুষ খুব মিলেমিশে থাকেন। জাঁকজমকভাবে এখানে দুর্গাপুজো হয়। আগে মুসলিম অধ্যুষিত এই গ্রামে দুর্গাপুজো করার কথা অনেকে ভাবতেই পারতেন না। গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজনের একটা দুঃখ ছিল। তাই হিন্দু ভাই–বোনেদ෴ের কথা ভেবে ১২ বছর আগে দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন কাজল শেখ। এখন কাজল বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি। হাজার ব্যস্ততার মধ্যেই সময় দেন গ্রামের দুর্গাপুজোতে। আর এই দুর্গাপুজোর নিয়ম–আচার, বাজারহাট, মণ্ডপ সজ্জা, প্রতিমা কেনা এবং বিসর্জন—সবেতেই থাকেন গ্রামের মুসলিম মানুষজন।
আরও পড়ুন: নতুন মোটরবাইক কিনে দুর্গাপুজোয় বেরিয়েছিল দুই ভাই, নব🌞মীতে শোকের ছায়া পরিবারে
ঠিক কী🙈 বলছেন কাজল? বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। সেখানে এই দুর্গাপুজো আলাদা মাত্রা যোগ করে। এই বিষয়ে কাজল শেখ বলেন, ‘আমরা সবাই একসঙ্গে ছোট থেকে বড় হয়েছি। ওরা আমাদের সঙ্গে ঈদ পালন করে। আমরাও পারি ওদের সঙ্গে দুর্গা পুজো👍 পালন করতে। এই গ্রামে ঈদ, বড়দিন, দুর্গাপুজো হবে। গ্রামের হিন্দু ভাইদের দুঃখ হতো দুর্গাপুজো হয় না। তাই এই দুর্গাপুজো শুরু করলাম। নানুরের পাপড়ি গ্রাম ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে উৎসবে মানুষ মেতে ওঠেন।’