দুর্༺গাপুজো মণ্ডপের পাশেই রয়েছে নানা খাবারের স্টল। আর সেই স্টলে বিক্রি হচ্ছে চপ, পকোড়া, ঘুগনি, ভেলপুরি–সহ নানা খাদ্যদ্রব্য। তবে বিক্রেতারা একেবারে মানাচ্ছে না স্টলের সঙ্গে। কারণ এঁরা শিক্ষিত বেকার সমাজের প্রতিনিধি। তাঁরাই প্রতীকী প্রতিবাদে খুলেছেন এই স্টল। রাজ্যে চাকরি নেই বলে বাড়ছে বেকার সংখ্যা। তাই প্রতিবাদের ভাষা তুলে ধরতেই এমন স্টলের দেখা মিলল বনগাঁয়। বনগাঁর নহাটা বাজারের কাছে দুর্গাপুজোর জন্য স্টল দিয়েছেন যুবক–যুবতীরা। অন্যান্য স্টলের মতোই দেখতে। শুধু বিক্রেতার ভাষা অনেক পরিশীলিত। তাঁরা নানা মুখরোচক খাবার বিক্রি করছেন। শিক্ষিত হয়েও আজ বেকারত্বের কারণে তাঁরা এই পথ বেছে নিয়েছেন। দুর্গাপুজোয় স্টল দিয়ে রাজ্যের বেকারত্বের প্রতিবাদ জানাতেই এমন অভিনব ব্যবস্থা করেছেন তাঁরা।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? তাঁরা মেধাবী🐈। সেটা তাঁদের রেজাল্ট বলছে। তাঁরা যোগ্য। কিন্তু চাকরি পাননি বলে অভিযোগ। সুতরাং মেধা নিয়েও আজ তাঁদের তকমা জুটেছে শিক্ষিত বেকার বলে। কর্মহীন চাকরিপ্রার্থীরা তাই পোস্টারিং করে ব্যানার লাগিয়ে চপ, পকোরা, সিঙ্গারা, ঘুগনি বিক্রি করছেন। দুর্গাপুজোর কদিন (ষষ্ঠী থেকে নবমী) এই কাজই করবেন তাঁরা বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর এই দৃশ্য দেখা গেল বনগাঁর নহাটা বাজারে। যা দেখে অনেকেই এগিয়ে গিয়েছেন স্টলগুলির দিকে। কিছু খাবারও কিনেছেন তাঁরা। বেকার যুবক–যুবতীদের এই অভিনব প্রতিবাদকে ঘিরে চর্চা তুঙ্গে উঠেছে।
কেন এমন কাণ্ড ঘটালেন? মণ্ডপ সংলগ্ন স্টলগুলিতে ঢুঁ মারতেই গোটা বিষয়টি সামনে আসে। এক শিক্ষিত বেকার বিক্রেতা আরিফুল মণ্ডল বলেন, ‘আমাদের রাজ্যে চাকরির অভাব রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী তো জানিয়েছেন চপ শিল্প দেশের জন্য একটা বড় শিল্প হতে পারে। তাঁর কথায় আমরা অনুপ্রাণিত হয়ে দুর্গাপুজোয় চপের স্টল দিয়েছি।’ আর এক শিক্ষিত বিক্রেতা দেবাশিস নাথের কথায়, ‘এটা আমাদের কাছে লজ্জার। কারণ শি🦩ক্ষিত হয়েও আমরা আজ চপের স্টল দিয়েছি। আমি কাজটাকে ছোট করছি না। কিন্তু যোগ্য হয়ে এই কাজ করতে হচ্ছে সেটা বলতে চাইছি।’ 🌊এই সব কারণগুলি মিলিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ করতে হচ্ছে বলে তাঁদের দাবি।
আরও পড়ুন: শোভাবাজারের গঙ্গায় তলিয়ে গেলেন এক ব🥂🗹্যক্তি, নবমীর দিন ঘটল মর্মান্তিক মৃত্যু
আর কী জানা যাচ্ছে? আগেও বেকারত্বের প্রতিবাদে প্রতীকী স্টল দিতে দেখা গিয়েছে বেকার যুবক–যুবতীদের। এবার সেটাই দুর্গাপুজো মণ্ডপে নিয়ে আসা হয়েছে। এখন দুর্গাপুজো মরশুমেও কলকাতায় ধর্মতলায় এসএসসি–সহ অন্যান্য চাকরি প্রার্থীরা অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। রাজ্যে শিক্ষক দুর্নীতির প্রতিবাদে আন্দোলন চলছে। তার সঙ্গে রয়েছেন ডিএ প্রাপকদের আন্দোলন। সেসবের একটা সংমিশ্রণ দেখা গেল দুর্গাপুজোর মধ্যেꦕও। মানুষের কাছে প্রতিবাদের ভাষা তুলে ধরতেই এই উদ্যোগ। তবে তাঁদের তৈরি খাবারও বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তাঁরা।