প্রোমোটার অয়ন শীলকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নওথিতে পাওয়া যায় একটি নাম—শ্বেতা চক্রবর্তী। তদন্তে উঠে এসেছে এই রহস্যময়ী নারীর নাম। আরও দু’জন রহস্যময়ী নারী আছে অয়নের জীবনে বলে দাবি তদন্তকারীদের। এই রহস্যময়ী নারী শ্বেতা আদতে উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটি পুরসভার সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার। আর তাঁর বাড়ি নৈহাটির ৭ নম্বর বিজয়নগর কলোনির জেলেপাড়ায়। ২০১৬ সালে তিনি ওই পদে যোগ দেন বলে স্বীকার করেছেন পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা। ধৃত অয়নের বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে পুরসভার চাকরি কেলেঙ্কারি সামনে এনেছে ইডি। আর উঠে এসেছে অয়নের সঙ্গে পরিচয় থেকে ‘বান্ধবী’ হওয়ার টানটান কাহিনী। আর এত কেলেঙ্কারি মেনে নিতে পারছেন না অয়নের বাবা সদানন্দ শীল।
অয়নের বাবা সদানন্দ আসলে কে? নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে অয়ন শীল গ্রেফতার হয়েছেন। অয়নের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। কেউ তাঁকে চিটিংবাজ বলছেন, কেউ বলছেন প্রতারক। ꩲআবার নারীঘটিত বিষয় রয়েছে বলে এলাকার মানুষজন এখন আওয়াজ দিচ্ছেন। প্রতিবেশীদের এমন আচরণ বৃদ্ধ বয়সে বিড়ম্বনায়🅰 ফেলেছে অয়নের বাবা সদানন্দ শীলকে। তিনি ৮৪ বছরের বৃদ্ধ। এখনও ছাত্র পড়িয়ে দিন কাটান। রাস্তায় এখন বেরলে প্রতিবেশীরা তাঁকে ছেঁকে ধরে অয়নকে নিয়ে নানা প্রশ্ন করছেন। আবার কেউ দূর থেকে কটু মন্তব্য করছেন। আর এই বয়সে এই সব শুনে হাপিত্যেশ করছেন তিনি।
ঠিক কী বলছেন সদানন্দ শীল? এই ঘটনার পর রাস্তায় বেরিয়ে ছিলেন তিনি। অয়নের মতোই সদানন্দবাবুর মাথার চুল কম। সাধারণ ফতুয়া–পাজামা পরে এলাকায় হাঁটতে বেরিয়ে ছিলেন তিনি। হাতে এখন বয়সের ভারে লাঠি এসেছে। তা নিয়ে বাড়ির পথে বৃদ্ধ সদানন্দবাবু ফিরছিলেন। ছেলেকে নিয়ে প্রশ্ন ধেয়ে আসতেই থতমত ♓খেলেন। এখনও তো টিউশনি করেন। ছেলেকে নিয়ে কী বলবেন? প্রশ্ন শুনে বৃদ্ধ বিড়ম্বনায় পড়া সদানন্দের জবাব,‘সব কিছু তো ফর্মুলা মেনে হয় না। অনেক ঘটনাই তো এমন ঘটে। তবে আমি আপসেট।’
আর কী জানা যাচ্ছে? অয়নকে ইডি অফিসাররা গ্রেফতার করতেই একের পর এক খবর সম্প্রচারিত হতে শুরু করেছে। সংবাদপত্র থেকে ডিজিটাল মিডিয়ায় তেড়ে সমালোচনা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে অয়নের বাবা সদানন্দ এবং মা অমিতা দেবী বাড়ির বাইরে খুব একটা বেরোচ্ছেন না। কার্যত স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি করেছেন নিজেদেরকে। মঙ্গলবার বিকেলে জগুদাসপাড়ার বাড়ি থেকে একবার বেরি♊য়েছিলেন অয়ন শীলের বাবা। কিন্তু পর পর প্রশ্ন ধেয়ে আসতেই ঘরে ঢুকে যান বৃদ্ধ সদানন্দ।