উপনির্বাচনের ৬টি আসনেই কুপোকাত হয়েছে গেরুয়া শিবির। তবে দুটি কেন্দ্র নিয়ে কিছুটা আশা ছিল বিজেপির। এক হল মাদারিহাট । আর দুই হল তালড্যাংরা। এদিকে এই দুটি আসনে মাটি কামড়ে পড়েছিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্♌বরা। পুরো বিষয়টির উপর নজর রাখছিলেন তারা। নানা পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এরপর ভোট এল ভোটের মতোই। তারপর বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে এই ভোটে🥂র সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে কিছুটা আভাসও দিয়েছিলেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃত্ব। কিছুটা আশার আলো দেখেছিল গেরুয়া শিবির।
কিন্তু ফল বের হতেই বোঝা গেল আশায় বাঁচে….। আশায় জল ঢেলে দিয়েছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, তালড্যাংরায় দায়িত্বে ছিলেন লকেট চট্টোপাধ্য়ায়। গত কালীপুজোর দিন থেকে তিনি একেবারে মাটি কামডജ়ে পড়েছিলেন এখানে। তাঁর নেতৃত্বেই একাধিক কর্মসূচি পালন করা হয়েছিল। এখানে সৌমিত্র খাঁর উপরেও বিশেষ দায়িত্ব ছিল। কিন্তু বাস্তবে ভোটের ফলাফল বের হতে দেখা গেল শুধু পরাজিত হয়েছে সেটাই নয়, গত বারের তুলনায় প্রাপ্ত ভোট কম🅺েও গিয়েছে।
বিপর্যয় মাদারিহাটেও। চা বলয়ের আওতায় থাকা মাদারিহাটে এই প্রথম খাতা খুলল তৃণমূল। আবার মাদারিহাটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সাংসদ মনোজ টিগ্গা ও দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তাকে। দুজনেই দিনের পর দিন ধরে এলাকায় পড়েছিলেন। নানা কর্মসূচি নিয়েছিলেন। নানা জনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। আর ফলাফল বের হতেই দেখা গেল এখানেও কুপোকাত। এখানেই প্রশ্ন উঠছে তবে কি ভোটের আগে কয়𓄧েকদিন পরিশ্রম করে বাংলায় ভোটে জেতা সম্ভব নয়, এটাই কি আবার সামনে এল?
সেই সঙ্গেই নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন উঠছে। তারা কতটা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন তা নিয়েও প্রশ্ন ꩲউঠছে। তবে শুধু এই কেন্দ্র দুটিতেই নয়। বাকি গুলিতেও নির্দিষ্ট বিজেপি নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সুপার ফ্লপ হয়েছেন তাঁরাও।
সিতাইতে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের উপর দায়িত্ব দেওয়া ছিল। কিন্তু সিতাইতে জেতা তো☂ অনেক দূরের কথা, লক্ষাধিক ভোটে মাঠ ছেড়েছে বিজেপি।
মেদিনীপুরে দায়িত্বে ছিলেন কাঁথির সাংসদ সৌমেন্দু অধিকারী। তিনি আবার শুভেন্দু অধিকারীর ভাই। তবে তিনিও বেশি কিছু করে উঠতে পারেননি। নৈহাটিতে দায়িত্ব ছিল অর্জুন সিংয়ের উপর। তবে নৈহাটি 𓃲উপনির্বাচনের আগে পুলিশ তলব করেছিল তাঁকে। তিনি সেই সময় কতটা ভোট পরিচালনার দিকে নজর রাখতে পেরেছিলেন তা নিয়েও সংশয়।