অবশেষে শেষ হল যাবতীয় বিতর্ক। বীরভূমে অনুব্রতর নেতৃত্♓বেই চলবে তৃণমূল। তৃণমূলের কর্মসমিতির বৈঠকে এমনটাই জানিয়ে দিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর ফলে ওই জেলায় তৃণমূলের রাশ কার হাতে থাকবে তা নিয়ে﷽ যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল তা শেষ হল বলে মনে করা হচ্ছে।
সোমবার দুপুরে কলকাতায় দলের বৈঠকে যোগ দিতে বেরনোর সময় অনুব্রত বলেছিলেন, দিদির সঙ্গে ভাই দে꧅খা করতে যাচ্ছে, এতে বলার কী আছে? জেলমুক্তির ২ মাস পর কালীঘাটের বৈঠকে অবশেষে ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ল কেষ্টর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিলেন, বীরভূমে অনুব্রতর নেতৃত্বেই চলবে তৃণমূল। এদিন মমতা বলেন, ‘কেষ্ট বীরভূমের জেলা সভাপতি। পদাধিকারবলে কোর কমিটিসহ জেলার সমস্ত কমিটির চেয়ারম্যান ও। জেলা সভাপতি কোর কমিটির সাধারণ সদস্য এটা আবার হয় না কি?’ সঙ্গে জেলায় দল কী কী কর্মসূচি নেবে তা কোর কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে ঠিক করতে বলেছেন মমতা।
কয়লা পাচার কাণ্ডে প্রায় ২ বছর জেলবন্দি থাকলেও অনুব্রতকে বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতির পদ থেকে সরাননি মমতা। কিন্তু গত সেপ্টেম্বরে জেল থেকে মুক্তি পেয়ে অনুব্রত বোলপুরে ফিরলে এই নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। কারণ ততদিনে জেলায় দলকে পরিচালনা করার জন্য কোর কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাহলে জেলায় দলের দায়িত্ব কার? কেষ্টর না কোর কমিটির তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এরই মধ্যে সম্প্রতি কেষ্টকে কোর কমিটির সদস্য করা হয়। তখন প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কඣি কোর কমিটিতে আর ৬ জন সদস্যের সমান ক্ষমতা কেℱষ্টর?