আগামী ১৩ নভেম্বর বাংলার ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে। তাতে বিজেপি বেশি ভাল ফল করার আশা করছিল মাদারিহাটে। কারণ এটা দু’বারের জেতা আসন। কিন্তু সেই আশায় কার্যতꦉ জল ঢেলে দিল গোর্খারা। আর তাতেই এখন সিঁদুরে মেঘ দেখছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। মাদারিহাট ছাড়া বাকি পাঁচটি আসন জেতার ব্যাপারে খুব একটা আশাবাদী নন বিজেপি নেতারা। কারণ সেখানে তাদের সংগঠন অত্যন্ত দুর্বল। তবে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের থেকে ভাল। তাই মাদারিহাট নিয়ে বেশি আশা করছিলেন𒁃 বিজেপি নেতারা। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। কারণ গোর্খাদের সমর্থনে এখানে একজন নির্দল প্রার্থী হয়েছেন।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই মাদারিহাট আসনটি নিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন বঙ্গ–বিজেপির নেতারা। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এবং ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মাদারিহাট আসন বড় ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন বিজেপির মনোজ টিগ্গা। এখন তিনি সাংসদ। তাই এই আসনে উপনির্বাচনꦑ হচ্ছে। সেখানে গোর্খাদের পক্ষ থেকে এমন খেলে দেওয়ায় উত্তরের এই আসনটিও কার্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়ল বলে মনে করা হচ্ছে। আর যদি ভোট কাটাকাটিতে মাদারিহাট আসনটি বিজেপির হাত থেকে বেরিয়ে যায় তাহলে ৬–০ নিরিখে পরাজিত হবে তারা বলে মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: জোটরক্ষা করতে অধীরের ফোন গেল বিমানের কাছে, ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে কথা
মেদিনীপুর, তালড্যাংরা, সিতাই, নৈহাটি এবং হাড়োয়ায় বিজেপির তেমন শক্তি নেই। এই বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে টাফ ফাইট বিজেপি দিলেও জেতার সম্ভাবনা নেই বলেই বহু নেতা মনে করেন। সেক্ষেত্রে বিজেপি দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও বাকিরা তৃতীয় অথবা চতুর্থ স্থানে থাকবে। মাদারিহাট জেতার স্বপ্নে যে এভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে এটা কোনও বিজেপি নেতা আগাম কল্পনা করতে পারেননি। তবে ৬টি আসনেই সরাসরি লড়াই হবে তৃণমূল 💦কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপিরই বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
এই উপনির্বাচনে বঙ্গ–বিজেপি প্রথমসারির নেতাদের প্রচারে নামাবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেখানে সুকান্ত মজুমদার থেকে শুরু করে শুভেন্দু অধিকারী, সুভাষ সরকার, সৌমেন্দু অধিকারী, অর্জুন সিংদের নামানো হবে। যদিও এই উপনির্বাচনে একটি আসনেও কোনও হেভিওয়াটকে প্রার্থী করা হয়নি। আবার দলের পুরনো কর্মীরাও এখনও নামেন🐲ি। সর্বত্রই রয়েছে আদি–নব্যের দ্বন্দ্ব। এই পরিস্থিতি বুঝতে পেরেই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ বলেছেন, এবার সকলে ভোট কার্নিভালে আসুন। ৬–০ ফলাফল হবে। কুণালের এই কথাতেও বিজেপি বেশ চাপে আছে। এখন দেখার এই চতুর্মুখী লড়াইয়ে কে কোন জায়গায় থাকে।