সম্ভাবনা বাস্তবে রূপ নিল। গরুপাচার মামলায় আজ, বৃহস্পতিবার অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করতে আসানসোল জেল𒊎ে এলেন নয়াদিল্লির ইডি অফিসাররা। সূত্রের খবর, বুধবার রাতেই কলকাতায় পৌঁছন ইডি অফিসাররা। নয়াদিল্লি থেকে জেরা করতে তিন তদন্তকারী অফিসার এসেছেন। ইতিমধ্যেই তাঁরা অনুব্রতকে জেরা করার জন্য ৪ পাতার একটি প্রশ্নের তালিকা তৈরি করেছেন। গরু পাচারে কোটি কোটি টাকা লেনদেন এবং ব্যা꧑ঙ্কের অ্যাকাউন্ট নিয়ে জেরা করে টাকার উৎস সম্পর্কে জানতে চান ইডির অফিসাররা।
কেন হঠাৎ এই জেরা পর্ব? ইডি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে জেরা করা হয়েছে। সায়গল হোসেন–সহ অনুব্রত ঘনিষ্ঠ এক🌠াধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সেখান থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়েই এখানে আসা হয়েছে। যা সামনে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে কেষ্টকে। বিপুল সম্পত্তি, টাকার লেনদেন এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নগদ কোটি কোটি টাকার উৎস সম্পর্কে জানতে চাওয়া হবে। অনুব্রত মণ্ডল অসহযোগিতা করলে আদালতে সেই তথ্য পেশ করা হবে। আর নিজেদের হেফাজতে চেয়ে নয়াদিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার আবেদন জানানো হবে।
আর কী জানা যাচ্ছে? ২০১৭ ღসাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে এই বিপুল পরিমাণ টাকা জমা হয় অনুব্রত মণ্ডল–সহ তাঁর ঘনিষ্ঠজনের অ্যাকাউন্টে। এই কোটি কোটি ট🧸াকার উৎস কী খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেখানে ব্যাঙ্কের কারও যোগস﷽াজশ আছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এই প্রথমবার অনুব্রত মণ্ডলকে আসানꩲসোল জেলে গিয়ে জেরা করছেন ইডির অফিসাররা। ইতিমধ্যেই জেরা শুরু হয়ে গিয়েছে।
কী প্রশ্ন করা হচ্ছে অনুব্রতকে? সূত্রের খবর, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব🐭্যবসায়ী এবং কর্মচারীদের অ্যাকাউন্টেও বিপুল পরিমাণ হিসেব বহির্ভূত টাকা মিলেছে। গরুপাচারের টাকা এই সব অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই লেনদেন করা হতো। কারও বেতন ১০ হাজার হলেও তাঁদের অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ হিসেব বহির্ভূত টাকা মিলেছে। এই হিসেব বহির্ভূত বিপুল পরিমাণ টাকার লেনদেনের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয় অনুব্রতকে। এত টাকা কোথা থেকে এল? আর কে কে জড়িত রয়েছে? কোথা থেকে ওই সমস্ত অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকত? এই সবস্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। তিনি কিছু কিছু উত্তর দিয়েছেন।