আজ, শুক্রবার অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে জেরা করবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এ✱ই প্রথমবার ইডি জেরা করবে কেষ্টর দেহরক্ষীকে। আর তাঁকে জেরা করার জন্য নয়াদিল্লি থেকে এসেছেন তিনজন ইডি অফিসার। আসানসোল জেলে গিয়ে তাঁকে জেরা করবেন অফিসাররা। গরুপাচার কাণ্ডে এই জেরা করতে চেয়ে আবেদন করেছিল ইডি। আর আদালতের নির্দেশেই জেরা করবে ইডি তিন অফিসার। সায়গল হোসেনের বিপুল সম্পত্তির উৎস জানতেই এই জেরা বলে মনে করা হচ্ছে। প্রয়োজনে সম্পত্তির নথি সঙ্গে নিয়ে জেরা করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
ইডি ঠিক কী করতে চাইছে? কিছুদিন আগে সায়গল হোসেনকে হেফাজতে চেয়ে জেরার জন্য নয়াদিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ღটে আবেদন জানায় ইডি। নয়াদিল্লিতে সায়গলের বিরুদ্ধে কোনও মামলা হয়নি, এই যুক্তিতে আবেদন খারিজ করে ইডিকে আসানসোল আদালতে আর্জি জানানোর পরামর্শ দিয়েছিল নয়াদিল্লির আদাꩲলত। সেখানে তথ্যপ্রমাণ দিয়ে আবেদন করতেই তাতে সম্মতি মেলে। সুতরাং আসানসোল জেলে গিয়ে সায়গলকে জেরা করবেন ইডির অফিসাররা।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই সায়গল হোসেন দেহরক্ষী হিসা🌱বে কাজ করতেন অনুব্রত মণ্ডলের কাছে। আর এই অনুব্রত মণ্ডল এখন আসানসোল সংশোধনাগারে বন্দি। গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। তাঁর টাকাই সায়গলের অ্যাকাউন্টে গিয়েছে কিনা জানতে চায় ꧟ইডি। এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কেমন করে করলেন সায়গল তা জানতেই এই জেরা–পর্ব। আগে সিবিআই দা♛বি করেছিল, সায়গল এবং তাঁর পরিবারের নামে ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। ইডি সূত্রে খবর, অনুব্রত–সায়গল ছাড়াও গরু পাচারের লভ্যাংশের টাকা আরও অনেকের কাছে পৌঁছেছে।
উল্লেখ্য, গরুপাচারের তদন্তে নেমে ইডি জানতে পেরেছে এই টাকা গিয়েছে বাংলাদেশেও। এই টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে সায়গলের কোনও হাত আছে কিনা তাও জানতে চায় অফ🔯িসাররা। সায়গল হোসেন গ্রেফতার হওয়ার পর প্রথমে সিবꦓিআই হেফাজতে ছিলেন। পরে তাঁর ঠাঁই হয়েছে আসানসোল জেলে। সিবিআই দাবি করেছিল, গরুপাচার মামলায় সায়গল হোসেনের মাধ্যমে এনামুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল অনুব্রত মণ্ডলের। এই যোগাযোগের মাধ্যমেই বিপুল পরিমাণ টাকা এদিক–ওদিক হয়। সায়গলের ফোনেই কথাবার্তা হতো। এইসব নিয়েই আজকের জেরা–পর্ব।