আরজি করের ঘটনা নিয়ে সম্প্রতি তৃণমূলের কর্মসূচিতে যোগ না দেওয়ায় বেশ কয়েকজন ছাত্রীকে কলেজের শৌচালয়ে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছিল। তাতে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এক ছাত্রী। আর এবার আরজি কর নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় দুই ছাত𝐆্রীকে অপমান করে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল কলেজের বিভাগীয় প্রধান তথা প্রাক্তন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। বাঁকুড়া জিলা সারদামনি মহিলা কলেজে এই ঘটনা ঘটেছে। বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরার বিরুদ্ধে। যদিও ছাত্রীদের ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার অন্য কারণ জানিয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: কাজে ফিরছেন জꩵুনিয়র ডাক্তাররা! তবে সব পরিষেবা দেবেন না, দিলেন সরকারকে ‘ওয়ার্নিং’
জানা গিয়েছে, আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে কলেজের বাইরে একটি স্ট্রিট পেন্টিং কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। সেই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন ওই দুই ছাত্রী। তারপরে তারা বিভাগীয় প্রধানের রোষের মুখে পড়েন। তাঁদের ওপর নেমে আসে শাস্তির খাঁড়া। ওই দুই ছাত্রী হলেন🌳 ভূগোল বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের অপর্না মণ্ডল ও প্রেয়সী টুডু। যদিও আরজি কর নিয়ে প্রতিবাদ করার জন্য যে দুই ছাত্রীকে বের করে দেওয়া হয়েছে সে কথা অস্বীকার করেছেন বিভাগꦺীয় প্রধান। তিনি দাবি করেছেন, দুজন ক্লাসের মধ্যে চাঁদা তুলে অন্যদের বিরক্ত করছিল। সেই কারণে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, দুই ছাত্রী কয়েকদিন আগে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ কর্মসূচি করতে চেয়েছিলেন। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ অনুমতি না দেওয়ায় গেটের বাইরে রাস্তায় তারা এই কর্মসূচির আয়োজন করেন। সেই কারণেই তাদের শাস্তি হিসেবে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, ওই দুই ছাত্রী ভূগোল বিভাগে ক্লাস করতে গেলে প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা তাদের অপমান করেন এবং ক্লাস থেকে বের করে দেন। এ ঘটনা পড়ে ছাত্রীরা কলেজের প্রিন্সিপ্যালের দ্বারস্থ হন। তাতে কোনও কাজ হয়নি। পরে দুই ছাত্রী সোশ্যাল মাধ্যমে সেই বিষয়টি তুলে ধরেন এবং প্রতিবাদ জানান। যদিও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা দাবি করেছেন, ওই দুজনের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন ছাত্রী লিখিতভাবে অভিযোগ জনিয়েছিলেন তাঁকে। তারপরে তিনি এই ব্যবꦦস্থা নিয়েছেন। আরজি করের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই।