হাওড়ায় বিষমদ কান্ডের পরেই চোলাই ঠেক বন্ধ করতে তৎপর হয়েছে আবগারি দফতর। এবার পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে বেশ কয়েকটি ঠেকে অভিযান চালিয়ে প্রচুর পরিমাণে চোলাই মদ এবং মদ তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করল আবগারি দফতর। গতকাল পুলিশের সহায়তায় ওই 𒁏এলাকায় হানা দেন আবগারি দফতরের আধিকারিকরা। মদ তৈরির প্রায় ২৬০০ লিটার তরল এবং ৯০ লিটার চোলাই উদ্ধার করেছে আবগারি দফতর। যদিও এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। তবে চোলাই বিরোধী অভিযান আগামী দিনেও চলবে বলে জানিয়েছে আবগারি দফতর।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার ভো✱রে কেশিয়াড়ি এলাকার বেলুট গ্রামে অভিযান চালায় আবগারি দফতর। সঙ্গে ছিল পুলিশ। এই খবর পেয়ে চোলাই ঠেক মালিকরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছিলেন যে দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় চোলাইয়ের কারবার চলছিল। সেই অভিযোগ পেয়ে অভিযান 🎀চালায় আবগারি দফতর।
উল্লেখ্য, গত ৭ জুলাই পূর্ব বর্ধমানে মদে বিষক্রিয়ার ফলে মৃত্যু হয়েছিল ৬ জনের। তার ঠিক ১২ দিন পরে হাওড়ায় বিষমদ কাণ্ডে মৃত্যু হয় ১১ জনের। এখনও বেশ কয়েকজন আশঙ্কা জনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এই দুটি ঘটনার পরেই তৎপর হয় আফগারি দফতর। তারপরেই রাজ্য জুড়ে অভিযান চালান আধিকা𒐪রিকরা।
হাওড়া বিষমদ কাণ্ডের পরের দিনই হুগলি, মুর্শিদাবাদ, জলপাইগুড়ি সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় তল্লাশি চালান আবগারি দফতরের আধিকারিকরা। হুগলির মগরা থানা এলাকার কলবাজারে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালান আবগারি দফতরের আধিকারিকরা। সেখানে একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে প্রচুর পরিমাণে চোলায় নষ্ট করা হয়। বেশকিছু জায়গায় পুলিশ ও আবগারি দফতররের আধিকারিকদের দেখে তালা বন্ধ করে দেয় চোল🌳াই ঠেকের মালিকরা। সেখানে তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন অধিকারিকরা।