রাজ্য বাজেটে অন্ডাল বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উত্তীর্ণ করার মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় হতবাক বিশেষজ্ঞরা। অসামরিক উড়ান বিশেষজ্ঞদের মতে, যেখানে মাত্র হাতে গোনা বিমান চলে, তাতেও লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছে না বিমানসংস্থাগুলি সেখানে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হবে কী ভাবে? তাছাড়া কোনও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুল্ক ও অভিবাসন দফতর থাকা বাধ্যতামূলক। দুটি দফতরই রয়েছে কেন্দ্রের হাতে। আন্তর্জাতিক বিমানচলাচলের ছাড়পত্রও নিতে হবে কেন্দ্রের অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রকের কাছ থেকে। তার পরও কী করে রাজ্য বাজেটে অন্ডালকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করার ঘোষণা করে🐬 দিলেন তিনি। এমনকী মালদা, বালুরঘাট ও কোচবিহার বিমানবন্দর নিয়েও সন্দিহান তাঁরা।
অন্ডাল বিমানবন্দরে এখন একসঙ্গে মোট ৪টি বিমান দাঁড়ানোর ব্যবস্থা রয়েছে। রানওয়ের যা দৈর্ঘ তাতে সর্বোচ্চ ১৮৬ আসনের বিমান ওঠা নামা করতে পারে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাগুলি এর থেকে অনেক বড় বিমান চালায়। যা ওঠা নামা করতে অন্তত ৩,০০০ মিটার রানওয়ে প্রয়োজন। এছাড়া বিমানবন্দরে রয়েছে মাত্র ১টি ট্যাক্সি বে। যা অপর্যাপ্ত বলে মত বিশেষজ্ঞদের। বিমা﷽নবন্দরে রয়েছে মাত্র ২০০ যাত্রীর অপেক্ষা করার জায়গা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রানওয়ের দৈর্ঘ্য বাড়ানো ছাড়াও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের করতে গেলে অন্ডালে বাড়াতে হবে বিমান দাঁড়াꦗনোর জায়গা। বাড়াতে হবে ট্যাক্সি বে-র সংখ্যা। আর সমস্ত ক্ষেত্রে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের ছাড়পত্র নিতে হবে। তৈরি করতে হবে এয়ারপোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার পরিকাঠামো। এছাড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দরকার শুল্ক ও অভিবাসন দফতর। ওই দুই দফতরও কেন্দ্রের অধীনে।
কোচবিহার, বালুরঘাট ও মালদা বিমানবন্দরের ভবিষ্যৎ নিয়েও সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা। গত ২ দশকে কোচবিহার বিমানবন্দর থেকে বিমান চালানোর অন্তত হাফ ডজন চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু চাহিদা না থাকায় প্রতিবারই কয়েকদিনের মধ্যে মুখ থুবড়ে পড়েছে সেই চেষ্টা। এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরাকর ভর্তুকি দিয়েও কোচবিহারে বিমান পরিষেবা চালু রাখতে পারেনি। বালুরঘাট ও মালদা বিমানবন্দর তৈরির দায়িত্ব নিয়েছে রাজ্য সরকার। 𓆏কিন্তু কাজের অগ্রগতি নিয়ে তেমন কোনও খবর নেই AAI-এর কাছে। সেখানেও রানওয়ে বিমান ওঠা নামার জꩲন্য উপযুক্ত কি না তা এখনো খতিয়ে দেখা হয়নি। ফলে বিমানবন্দর ২টি আদৌ ব্যবহার করা যাবে কি না তা নিয়েই সংশয় রয়েছে।
অসমারিক উড়ান বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বিমান চালানো এখটা খুব ব্যয়বহুল বিষয়। দিনের পর দিন লোকসানের মুখে পড়ে বিমান চালানো কারও পক্ষেই সম্ভব নয়। চাহিদা না থাকলে কোনও বিমান সংস্থা সেই ঝুঁক𓆏ি নেব🌃ে না।