যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর পরে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করেছে উচ্চশিক্ষা দফতর। মঙ্গলবার এই কমিটি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে প্রথমে কর্তৃ๊পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে এবং পরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং হস্টেল পরিদর্শন করে। জানা গিয়েছে, ৩ সদস্যের এই কমিটি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গত পাঁচ বছরে র্যাগিং রুখতে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে তার রিপোর্ট ৭ দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জমা দিতে বলেছে। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির বৈঠকে আরও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কবে শুরু হবে CCTV ꦐবসানোর কাজ, উত্তর দিলেন JU-র র♔েজিস্ট্রার
এদিনের বৈঠকে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি বা স্কোয়াড কোন অবস্থায় রয়েছে? সেখানে কোন কোন আধিকারিক ছিলেন? সেই সংক্রান্ত বিষয় জানতে চায় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। তাছাড়া, সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে কিনা? কতজন নিরাপত্তারক্ষী রয়েছেন সে সমস্ত বিষয়ও জানতে চেয়েছে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। আগামী ৭ দিনের মধ্যে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর পরে র্যাগিং তত্ত্ব উঠেছে। মৃত ছাত্রকে যে র্যাগিং করা হয়েছিল তার বিভিনꦫ্ন তথ্য প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনও গাফিলতি রয়েছে কিনা তা রিপোর্ট পাওয়ার পর খতিয়ে দেখবে।
ছাত্র মৃত্যুর পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল সিসিটিভি বসানো হবে। ক্যাম্পাস এবং হোস্টেলে সেগুলি বসানো হবে। ইতিমধ্যে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের কাছে সে বিষয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে সিসিটিভি বসানোর কাজ বেশি দূর এগোয়নি। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্র♋ার স্নেহমঞ্জু বসু জানিয়েছিলেন, অর্থ দফতরের অনুমোদন পাওয়ার পরেই সিসিটিভি বসানোর কাজ শুরু করা যাবে। প্রাথমিকভাবে উচ্চ শিক্ষা দফতরের কাছে সিসিটিভি বসানোর জন্য ৩৭ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকার প্রস্তাব পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
পূর্ত দফতরকে দিয়ে এই কাজ করানো হলে সে ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা দফতর এই টাকার অনুমোদন দিতে পারতো। কিন্তু বিশ্বব☂িদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা পূর্ত দফতরের কাছে আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু এই কাজে রাজি হয়নি দফতর। তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়েবেলকে দিয়ে এই কাজ করাবে। আর তার জন্য অর্থ দফতরের অনুমোদন প্রয়োজন। এ বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিকে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে আগামী ১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পক্ষক๊ে নিয়ে আরও একটি ꧙বৈঠক হবে। সেই বৈঠকে শিক্ষা মন্ত্রী, রাজ্যপাল এবং ইউজিসির এক প্রতিনিধিকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকার আবেদন জানিয়েছে তৃণমূল শিক্ষা বন্ধু সমিতি। এর পাশাপাশি তারা বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচারের আবেদন জানিয়েছে।