শান্তিনিকেতন বলতেই বিভিন্ন ধরনের শিল্পের কথা মাথায় আসে। শাড়ি, আঁকা, গান, কবিতার মতো বিভিন্ন শিল্পে সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন কবিগুরুর এই পূণ্যভূমি। এহেন শান্তিনিকেতনেই আলাদা ধরনের এক ‘শিল্প’ চালু হয়েছিল। আর এই শিল্প হল জালনোট তৈরি। জানা গিয়েছে, শান্তিনিকেতনের শ্যামবাটি এলাকায় ফটোকপির দোকানের আড়ালে জাল নোট তৈরির কাজ চলত। দোকানটি প্রদীপ খাঁ-র নামে। এই ফটোকপির দোকানে হানা দিয়ে বড় সাফল্য পেলেন সিআইডি কর্তারা। ওই কাণ্ডে জড়িত সন্দেহে প্রদীপের বাবাকে আটক করা হয়েছে। তবে মূল অভিযুক্ত প্রদীপ খাঁ এখনও অধরা বলে জানা গিয়েছে। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। প্রদীপের বাবাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, সিআইডির তদন্তকারীরা এই ফটোকপির দোকানে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকটি ১০০ টাকার জাল নোট উদ্ধার হয়েছে। পাশাপাশি একটি ফটোকপির যন্ত্র ও সাদা কাগজও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। স্থানীয়দের থেকে সিআইডি আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, আগে এই দোকানে লটারি বিক্রি করা হত। পরে আচমকাই ভোল বদলে যায় এই দোকানের। এখানে তৈরি জাল নোট রাজ্যের সীমানা পার করে ভিনরাজ্যেও পাচার হত কিনা, তা খতিয়ে দেখতে জেরা শুরু করেছেন তদন্তকারীরা।জানা গিয়েছে, মাত্র কয়েকদিন আগেই প্রদীপ লটারি বিক্রি বন্ধ করে দেয়। একটি ফটোকপি মেশিন কিনে এনে তা দোকানে বসানো হয়েছিল। তবে ফটোকপির আড়ালে যে জাল নোট ছাপানোর কারবার চলছিল, সেই বিষয়ে গুণাক্ষরেও টের পাননি আশেপাশের দোকানদাররা। সিআইডি দল হানা দেওয়ার পর আশেপাশে দোকানদারদের জিজ্ঞাসাবদ করলে তাঁরা আঁচ করতে পারেন যে প্রদীপ আদতে অসাধু ব্যবসায় নেমেছিল।