দীর্ঘদিনের প্😼রেম। পরিবারের সম্মতিতে এক হয়েছে চার হাত। তারপরেও মে⛄নে নেননি গ্রামবাসীরা। কারণ ওরা সমকামী। তাই পাড়া প্রতিবেশীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আপাতত বাড়ি ছাড়া হয়েছে দুই তরুণী। বর্তমানে ঘরভাড়া নিয়েই তারা একে অপরের সঙ্গে রয়েছে। এখন নিজেদের মতো করে সংসার করছেন হুগলির ঝুম্পা ও সাথী।
হুগলির দাদপুর সাটিথানের বাসিন্দা ঝুম্পার সঙ্গে বলাগড় গুপ্তিপাড়ার গোসাইডাঙার সাথীর আলাপ হয়েছিল ফেসবুকে। ধীরে ধীরে দুজনের সম্পর্ক গাঢ় হয়, ক্রমেই তা পরিণত হয় প্রেমে। দুজনের মধ্যে প্রেম এতটাই গাঢ় হয় যে ঝুম্পা খোꦿদাই করে হাতে লিখে নেয় সাথীর ন✤াম। চক্ষুলজ্জার কারণে প্রথমে তাদের একে অপরকে বিচ্ছেদ করতে চেয়েছিল পরিবার। কিন্তু তারা কেউই একে অপরের হাত ছাড়তে রাজি ছিলেন না। সাথীর জন্য মাথার লম্বা চুলও কেটে নিয়েছিলেন ঝুম্পা। প্📖রথমে পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে না নিলেও অবশেষে মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে সেই সম্পর্ক মেনে নিয়েছে দুই পরিবার।
ঝুম্পার মায়ের কথায়, ‘মেয়ের মুখের দিকে চেয়ে ওদের সম্পর্ক মেনে নিয়েছি। তবে গ্রামের লোকেরা ওদের সম্পর্ক মেনে নেয়নি। তাই তাদের গ্রামে থাকতে দেয়নি। বাধ্য হয়ে ওদের বাড়ি ছাড়তে হয়েছে।’ দুজনে এখন হাওড়ায় একটি বাড়ি ভাড়া করে রয়েছেন। ঝুম্পার কথায়, ‘আমি চকলেটের কারখানাতে কাজ করি। আর সাথী গেঞ্জি কারখানাতে কাজ করে। এই করে আমরা কোনওভাবে সংসার চালাচ্ছি। প্রথম মাসে ভাড়া দিয়েছি। অল্প বিস্তার সমস্যা হলেও আমাদের আক্ষেপ নেই। কারণ আমরা একে অপরের সঙ্গে রয়েছি।’ সাথীর কথায়, ‘পাড়া প্রতিবেশীরা কী বলল তাতে আমাদের মাথা ব্যথা নেই। পরিবার আমাদের ♊সম্পর্ক মেনে নিয়েছে এতেই আমরা খুশি। নিজেদের মতো আমরা সংসার গুছিয়ে নিয়েছি।’