এবছর রবি শস্য চাষ শুরু প্রথম থেকে একের পর এ🐽ক প্রাকৃতিক দুর্যোগ নেমে এসেছে রাজ্যে। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের পর পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে গতকাল মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গের বহু জেলায়। একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ নেমে আসায় চাষে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। বিশেষ করে নদীয♔়া জেলার কৃষকরা চাষে মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন।
নদীয়া জেলার ♐বিভিন্ন ব্লক শীতকালীন রবি শস্য চাষের জন্য বিখ্যাত। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ফুলকপি ,বাঁধাকপি, বেগুন, টমেটো ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি। সাধারণত শীতকালীন ফসলগুলিতে জল কম লাগে। বেশি জল হলে সে ক্ষেত্রে গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে মঙ্গলবার রাতভর বৃষ্টিতে নদীয়ার বহু জায়গায় কৃষিজমি জলমগ্ন হয়েছে। নদীয়ার পাশাপা🅺শি বাঁকুড়া, বর্ধমান জেলায় আলু চাষেও ক্ষতি হয়েছে।
কয়েকদিন আগেই জাওয়াদের ফলে বহু শীতকালীন ফসল বিশেষ করে আলু নষ্ট হয়েছে। ফলে আলু চাষীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন । সেই ক্ষতির ধাক্কা কাটিয়ে নদিয়ায় এবার অনেকেই ব♓েগুন চাষ করেছিলেন। কিন্তু,গত কাল থেকে বৃষ্টির ফলে বেগুন গাছে জল ধরে গেছে। ফলে বেগুন গাছ নষ্ট হচ্ছে ।
এক কৃষকের কথায়, ' সব শেষ হয়ে গেল। বেগুন, কুমড়ো, মুসুর সব গাছ নষ্ট হয়ে গেল। বেগুন গাছে জল ♒দিয✱়েছিলাম। কিন্তু বৃষ্টির ফলে জল বেড়ে গেছে। এখন গাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কি করবো কিছু বুঝতে পারছিনা!'
অন্যদিকে, ༒মাঠে যে কপিগাছ হয়েছিল তাও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে জানাচ্ছেন কৃষকরা। আলু চাষের ধাক্কা কাটিয়ে শীতকালীন সবজি বিক্রি করে ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় বুক বেঁধেছিলেন অনেক চাষী। কিন্তু, এইভাবে বৃষ্টি হলে তা কোনওভাবে সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন কৃষকরাꦗ।