সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে আগেই কেন্দ্রকে চিঠি পাঠিয়েছিল রাজ্য। এবার একই অনুরোধ করে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর্জি জানালেন, আগামী๊ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাধ্যতামূলকভাবে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত বর্ষ বা সেমেস্টারের পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশিকা প্রত্যাহার করা হোক।
চিঠিতে মমতা লেখেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) তরফে যে নির্🧔দেশিকꦜা জারি করা হয়েছে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পড়ুয়া এবং শিক্ষক মহলের শয়ে শয়ে ইমেল পাচ্ছি। সেজন্য বিষয়টি আপনার কার্যালয়ের নজরে নিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছি।’
ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ এবং উন্নয়ন মন্ত্রকে চিঠি লিখে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি মণীশ জৈন জানিয়েছেন, কেন্দ্রের সংশোধিত নির্দেশিকাকে বাধ্যতামূলক না করে রাজ্যকে নিজের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অনুমতি দেওয়া হোক। চিঠিতে তিনি পরিꦰষ্কারভাবেই জানান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সংশোধিত নির্দেশিকা অনুযায়ী চূড়ান্ত টার্ম পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত সংবিধানে উল্লিখিত যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিরোধী। শিক্ষা যুগ্ম তালিকায় থাকা সত্ত্বেও রাজ্যের সঙ্গে কোনও আলোচনা করেনি ইউজিসি। অথচ নির্দেশিকা তৈরির ক্ষেত্রে ইউজিসিকে আলোচনার আর্জি জানিয়েছিল রাজ্য। একইসঙ্গে চিঠিতে জানানো হয়েছে, অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন এবং পূর্ববর🐻্তী সেমেস্টারের ভিত্তিতে মূল্যায়নের সিদ্ধান্তে সমর্থন জানিয়েছেন পড়ুয়া, অভিভাবক-সহ সব পক্ষ।
তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, পঞ্জাব এবং দিল্লিও সেই পরীক্ষা নিয়ে ♛আপত্তি জানিয়েছে। দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা শিক্ষামন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া একধাপ এগিয়ে শনিবার জানান, দিল্লি সরকারের অধীনস্থ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে কোনও পরীক্ষা হবে না। তিনি বলেন, ‘ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্ট (অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন) বা পূর্ববর্তী সেমেস্টারের ভিত্তি🦩তে পড়ুয়াদের মূল্যায়ন করবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। কীভাবে মূল্যায়ন করা হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি।’ কিছুক্ষণ পর মোদীকে চিঠি লিখে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল 'পড়ুয়াদের বৃহত্তর স্বার্থ'-এ দিল্লি-সহ দেশের সব কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা বাতিলের আর্জি জানান।
তার ফলে আপাতত স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পরীক্ষা ন♈িয়ে কেন্দ্রের উপর যথেষ্ট চাপ বাড়ল বলেই মত শিক্ষা মহলের।