উচ্চ মাধ্যমিকে অনুত্তীর্ণ ছাত্রীদের আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করলেন ত🔯ৃণমূল নেতা। ঘটনা ঘিরে চাপানউতর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের পাল্টা অভিযোগ এনেছে☂ বিজেপি নেতৃত্ব।
মঙ্গলবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদ হাবিবপুর থানায় বিজেপি বিধায়ক জোয়েল মুর্মুর বিরুদ্ধে ছাত্রীদের আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করে। হবিবপুর ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি রাকেশরঞ্জন রায়ের উপস্থিতিতেই বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে লিখিত✤ অভিযোগ দায়ের করা হয়।
ঘটনার প্রেক্ষিতে বিজেপি বিধায়ক জোয়েল মুর্মুর দাবি, ‘সাধারণ জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করেছিলাম। সেদিন আমি ওই রাস্তা দিয়ে যেতে গিয়ে আটকে পড়ি, তখনই ছাত্রীদের 𝓰বিক্ষোভ করতে দেখে সেখানে যাই। শিক্ষিকাদের সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলেছিলাম। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।' গোটা ঘটনাকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে চিহ্নিত করেছেন মালদহ জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘এটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছু নয়। গোটা রাজ্যের পড়ুয়ারা যেখানে ঢালাও পাশ হচ্ছেন, সেখানে ওই স্কুলে এমন কী ঘটল যে, এত ছাত্রীকে অকৃতকার্য করিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকী, প্রতিবাদ করতে গেলে ছাত্রীদের উপর লাঠিচার্জও করা হয়েছে। এই অমানবিক ঘটনার প্রেক্ষিতেই ছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বিধায়ক। এখন যে তাঁকে মামলায় ফাঁসিয়ে টার্গেট করা হবে, এটাই স্বাভাবিক। পুলিশের এতে সায় আছে বলেও অভিয়োগ করেন তিনি।
ঘটনাটি মালদহের বুলবুলচণ্ডী আরএন রায় গার্লস হাইস্কুলের। চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিকের ফল ঘোষণার পর দেখা গিয়েছিল যে, মালদহের এই বালিকা বিদ্যালয়ের অর্ধেকের বেশি ছাত্রী অনুত্তীর্ণ হয়েছিলেন। এই স্কুলের এবারে উচ্চ মাধ্যমিকের ১৮৩ জন ছাত্রী ছিলেন। কিন্তু এবার করোনার কারণে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল করে রাজ্য সরকার। গত ২৪ জুলাই পাশ করিয়ে দেওয়ার দাবিতে ওই স্কুলে বিক্ষোভ দেখান ছাত্রীরা। মালদহের রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হন মালদহের বিধায়ক জোয়েল মুর্মু। ওইদিনই একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। সেই ভিডিয়োতে (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) দেখা গিয়েছে, জোয়েল মুর্মু প্রকাশ্যে শিক্ষিকাদের উদ্দেশে বলছেন, ‘ছাত্রীদের যদি পাশ করানো না হয়, সে ক্ষেত্রে 𒈔কেউ আত্মহত্যা করলে, দায়ী থাকবেন আপনারা।’ ভাইরাল হওয়া এই ভিডিয়ো ঘিরেই বিতর্ক শুরু হয়।