এগরা কাণ্ডের পর বেআইনি বাজি কারখানা বন্ধে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। নবান্ন থেকে জারি করা হয়েছে ছ'দফা নির্দেশিকা। এই নির্দেশিকা পুলিশের কাছে আসতেই জেলায় জেলায় আতশবাজির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। বাজি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বেআইনি বাজি ব্যবসায়ীদের ধরতে যাঁরা আইন মেনে ব্যবসা করেন তাঁদেরও হায়রানি করছে পুলিশ। কারখানায় তালা দিয়ে শ্রমিকদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কাঁচামাল বাজেয়াপ্ত করছে। এমনটা যদি চলতে💯 থাকে তবে আগামী দিনে বড়সড় আন্দোলনের পথে যাবেন বলে আতশবাজি ব্যবসায়ীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
বাজি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, শুক্রবার দিনভর দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ🌊 কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। ধরপাকড় করা হয়েছে🍌 শ্রমিকদের। আতশবাজি তৈরির কাঁচামাল সোরা, গন্ধক ও কাঠকয়লা বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে গিয়েছে। যেগুলি দিয়ে বিস্ফোরক তৈরি করা যায় না। বাজি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ধরপাকড়ের নামে তাঁদের লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি করে দিচ্ছে পুলিশ।
শুক্রবার পুলিশের অভিযান শুরু হওয়ার পর বৈঠকে বসেন আতশবাজি ব্যবসায়ীরা। বেআইনি বাজি উদ্ধারের নামে পুলিশের এই ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তাঁরা। বেশ কয়েকদিন দেখার পর তারা বৃহত🐻্তর আন্দোলনের পথে যাবেন বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
বাংলা আতশবাজি সমিতির নেতা বিমল রায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন,'পুলিশ কোথাও বিস্ফোরকজাত পদার্থ অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, নাইট্রোজেন গ্লিসারিন বা পটাশিয়াম ক্লোরেড পায়নি। কারণ রাজ্যের আতশবাজি ব্যবসায়ীরা জানে কোনটা আইনি কোনটা বেআইনি। তাই তাঁদের হেনস্থা বন্ধ হোক।' তিনি কর্মসং𓆉স্থানের প্রসঙ্গও তোলেন। বিমল রায়ের কথায়, 'আতশবাজি ব্যবসার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে ৩১ লক্ষ মানুষ যুক্ত আছেন। প্রশাসনের সিদ্ধান্তে তার যদি কর্মღহীন হয়ে পড়েন তবে আমাদের পথে নামা ছাড়া উপায় থাকবে না। '
গত মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় একটি বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। কারখানার মালিক ভানু বাগ বিস্ফোরণের পর এলাকা ছেড়ে পালন। বৃহস্পতিবার তাঁরও মৃত্যু হয়। (বিস্তারিত পড়ুন। এগরা বিস্ফ♊োরণে মৃত বেড𒅌়ে ১১, SSKM-এ মৃত্যু হল আরও ১ জনের )