দুর্গাপুজোর আর বেশি দেরি নেই। জন্মাষ্টমীতেই 𓃲দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি পড়েছে বেলুড় মঠে। প্রতিমা শিল্পীদের নাওয়া খাওয়ারও সময় নেই বললেই চলে। তবে পুজো যতই এগিয়ে আসছে ততোই ফুলের চাহিদা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে পুজো কমিটিগুলির💟। এবছর নিম্নচাপে ফুল চাষে যেভাবে ক্ষতি হয়েছে তাতে আদৌও পুজোর সময় ফুলের পর্যাপ্ত যোগান মিলবে তো? তা এখন চিন্তার মধ্যে রয়েছে পুজো কমিটিগুলি।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া ব্লকের পাশাপাশি কোলাঘাট, তমলুক, শহিদ, মাতঙ্গিনী ব্লকের একাংশে রজনীগন্ধা থেকে শুরু করে দোপাটি, গোলাপ, পদ্ম প্রভৃতি🦩 ফুল চাষ হয়। তবে নিম্নচাপে জেরে এই ফুল চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যা নিয়ে চিন্তায় মাথায় হাত ফুল চাষীদের। দীর্ঘ দু'বছর করোনার কারণে সেভাবে লাভের মুখ দেখতে পারেননি ফুল চাষীরা। এ বছরের প্রথম দিকেও ফুলের খুব একটা ভালো বা⛦জার ছিল না। তবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর থেকে ফুলেরবাজার আবার উঠতে শুরু করেছিল। ট্রেন চালু হওয়ায় বাইরেও ফুল পাঠাতে পারছিলেন চাষীরা। সব মিলিয়ে ১৫ অগস্টের মধ্যে ফুলের বাজার বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল।
তবে তার পরে দুটি নিম্নচাপের জেরে ফুল চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়। ৭০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের কারণে বাগানের মধ্যেই নুইয়ে পড়েছে রজনীগন্ধা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ফুল গাছ। যার ফলে চাষে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ফুল চাষীরা। ঠিক কত পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তার জন্য ব্লক আধিকার𓃲িকদের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন উদ্যান পালন দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর দীপক ষড়ঙ্গী।
কলকাতায় মল্লিক বাজার ফুলের বাগানে পুজোর সময় পূর্ব𝓰 মেদিনীপুরের ফুলে ভরে থাকে। ফলে আগামী কয়েক সপ্তাহ আবহাওয়া কেমন থাকছে তার উপরেই ফুলের দাম নির্ভর করবে বলে মনে করছেন ফুল ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে সারা বাংলা ফুল চাষী ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন, ‘পুজোর কথা মাথায় রেখে নতুন করে ফুলের বাগান তৈরি করছেন চাষীরা। তবে আবহাওয়া ঠিক থাকলে পুজোর সময় ফুলের যোগানে কোনও সমস্যা হবে না।’