ভুয়ো পরিচয়ের ব্যক্তির শেষ দেখা যাচ্ছে না। একের পর এক ভুয়ো পরিচয়ের ব্যক্তিকে ধরতে ধরতে হাঁফিয়ে উঠেছে পুলিশও। কিন্তু এর শেষ কোথায়? উঠছে প্রশ্ন। কারণ এবার জালে ভুয়ো ফার্মাসিস্ট! শুধু ভুয়ো পরিচয় দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি। বরং কাজ করার নামে জাল নথি জমা দিয়ে ড্রাগ কন্ট্রোলের হাতে ধরা পড়ল চার চক্রী। আর এই ঘটনা প্রকশ্যে আসতে অনেকেই আতঙ্কে ভুগছেন। কারণ এরা কত লোকের সর্বনাশ করেছে কে জানে।পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতরা সকলেই বীরভূম ও মালদহের বাসিন্দা। শুক্রবার রাতে ওই চার ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে বারাসাত থানার পুলিশ। এই চার ভুয়ো ফার্মাসিস্ট হল—বিষ্ণু সাহা, শুভঙ্কর দাস, প্রীতম কর্মকার এবং শুভজিৎ শর্মা। বিষয়টি তদন্ত শুরু করা হয়েছে। দফায় দফায় জেরাও করা হয়েছে। কিন্তু আরও অনেক তথ্য জানা বাকি রয়েছে।কিভাবে এই ঘটনা প্রকাশ্যে এলো? জানা গিয়েছে, সোদপুরে পশ এলাকায় ওষুধের দোকান রয়েছে অজয়কৃষ্ণ ভট্টাচার্যের। ওষুধের দোকানের লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ করার জন্য বারাসত ড্রাগ কন্ট্রোল দফতরে আবেদন করেন তিনি। লাইসেন্সের কাগজপত্র পরীক্ষা করতেই প্রকাশ্যে আসে ভুয়ো বিষয়টি। লাইসেন্স পুনর্নবীকরণের জন্য মালদহের এক ফার্মাসিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেন অজয়কৃষ্ণ। ওই ফার্মাসিস্টের নথি–শংসাপত্র জমা দেন। এই নথি পরীক্ষা করতে বারাসত যান ড্রাগ কন্ট্রোলের চার প্রতিনিধি। জিজ্ঞাসাবাদ করতেই গরমিল সামনে চলে আসে। এমনকী লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা নথির সঙ্গে অভিযুক্তদের নথির মিল নেই বলেই জানায় ড্রাগ কন্ট্রোল।এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে ঢি ঢি পড়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে অজয়কৃষ্ণ ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমি ফার্মাসিস্ট চাই বলে আবেদন করেছিলাম। আর আমার একজনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। কিন্তু তাঁর কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখা যায়, তিনি জাল নথি পেশ করেছেন। আমার মতো আরও দুই–তিনটি দোকানের মালিকের সঙ্গে একই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।’ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় বারাসাত থানায় অভিযোগ দায়ের করে ড্রাগ কন্ট্রোল। পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করে। তাদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারা ফার্মেসির বিষয়ে কোনও প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেনি। পুলিশের অনুমান, ভুয়ো ফার্মাসিস্টদের সঙ্গে বড় চক্রের যোগ রয়েছে। এই চক্রটি নকল নথি তৈরি করে ওষুধের দোকানের লাইসেন্স পাইয়ে দেয়।