মকর সংক্রান্তি কেটে গেলেও শীতের ঝোড়ো ব্যাটিং অব্যাহত রয়েছে। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গে কনকনে ঠাণ্ডা বেশ টের পাওয়া যাচ্ছে। তাই পথেঘাটে অনেক মানুষই জড়ো হয়ে আগুন জ্বালিয়ে তাপ নিচ্ছেন দেখা যাচ্ছে। এই আবহে আবার সোমবারের তুলনায় আজ, মঙ্গলবার বেশি ঠাণ্ডা ডুয়ার্স–সহ উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। তার সঙ্গে ঘন কুয়াশা তো রয়েছেই। তাতেই ঢেকেছে ডুয়ার্স এবং অন্যান্য অঞ্চল। কিন্তু এমনꦬ পরিবেশ থাকলেও চলন্ত অ্যাম্বুলেন্সে আগুন লেগে যাওয়ায় তুমুল আলোড়ন দেখা দিয়েছে উত্তরবঙ্গে।
এই ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়ে যেতেই গ্রামের মানুষেরা ছুটে আসেন। কারণ সকালে ১০টা বেজে গেলেও সূর্যের দেখা মেলেনি। তাই আগুন জ্বালিয়ে তাপ নিচ্ছিলেন স্থানীয় মানুষজন। সেখানে এমন ঘটনা দেখে ছুটে যান তাঁরা। যদিও কুয়াশার জন্য দৃশ্যমানতা খুব কম ছিল। তাই শরীর গরম করতে একাধিক জায়গায় আগুন জ্বালিয়ে তাপ নিচ্ছিলেন মানুষজন। বাজারঘাট থেকে রাস্তায় মানুষজন অত্যন্ত কম👍। এমন আবহে কেমন করে অ্যাম্বুলেন্সে আগুন ল꧅াগল তা কেউ বুঝতে পারছেন না। বিষয়টি নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
এদিকে সরাসরি অ্যাম্বুলেন্সের ইঞ্জিনে আগুন লেগে যাওয়ায় বড় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা ছিল। তবে সেসব কিছু ঘটেনি। কিন্তু এবার অ্যাম্বুলেন💙্সে আগুন লেগে যাওয়ায় পরিষেবা কেমন করে মিলবে বিপদে পড়লে সেটা নিয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে। কারণ এসব জায়গায় একাধিক অ্যাম্বুলেন্স থাকে না। যে দু’চারটি থাকে তা দিয়েই পরিষেবা দিতে হয়। সেখানে মাল ব্লকের গজলডোবার ১০ নম্বর এলাকায় একটি অ্যাম্বুলেন্সের ইঞ্জিনে আগুন লেগে যায়। তখন ছুটে এসে স্থানীয় মানুষ এবং পুলিশ প্রশাসন বালি দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করেন।
আরও পড়ুন: ইডি অফিসে 💯থেকে টাকা তছরুপ করে চলে গেল কর্মী, পুলিশের দ্বারস্থ হলেন শীর্ষকর্🎃তা
অন্য𒉰দিকে মাল ব্লকের মিনগ্লাস চা–বাগান থেকে এক রোগীকে নিয়ে গজলডোবা তিস্তা সেতু হয়ে শিলিগুড়ি যাচ্ছিল অ্যাম্বুলেন্সটি। আর গজলডোবা ১০ নম্বর এলাকায় তিস্তা সেতুর কিছুটা দূরে অ্যাম্বুলেন্সের ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখতে পান চালক। তখন অ্যাম্বুলেন্স থামিয়ে নেমে আসেন চালক। আর ইঞ্জিনের বোনেট খুলে দেখতে যান কী হয়েছে। তখনই দেখতে প🎉ান আগুনের শিখা। তিনি ছিটকে সরে আসেন। আগুন নেভানো গিয়েছে। তবে রোগীর কোনও ক্ষতি হয়নি। আশেপাশের মানুষ ছুটে আসেন আগুন নেভাতে। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে গজলডোবার উড়ালপুলেও একইভাবে একটি ডাম্পারে আগুন লেগেছিল।