সাগর ডাকে আয়—এই গানের লাইনটি এখন বাস্তবে পরিণত হয়েছে। কারণ সাগর এবার সত্যিই এগিয়ে আসছে। আর তাই কপিলমুনি আশ্রমের মন্দিরের কাছেই ধরা পড়েছে ভাঙন। পরিস্থিতি বেগতিক হয়ে দেখা দিয়েছে। বহু জায়গায় বসে যাচ্ছে সাগরের পাড়। তাই বিষয়টি নিয়ে সামগ্রিক প্রকল্প নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। এই কাজের সার্বিক পরিকল্পনা স্থি🅘র করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গঙ্গাসাগর যাচ্ছেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। এমনকী তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকলেন সেচমন্ত্রী। আজ, শনিবার পর্যবেক্ষণে যাবেন মন্ত্রী বলে খবর।
এদিকে গঙ্গাসাগরে সারাবছর মানুষ আসেন। লোক সমাগম হয় গঙ্গাসাগর মেলায়। এখানেই বড় হয়ে দেখা দিয়েছে ভাঙন সমস্যা। তাই উদ্বিগ্ন রাজ্য প্রশাসন এবং আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। পূর্ণিমা বা অমাবস্যার ভরা কোটালে বাঁধ ভেঙে নদীর নোনা জল ঢুকে গ্রাম প্লাবিত করে দেয়। ইতিমধ্যেই সুন্দরবনের ভাঙা নদী বাঁধগুলি পরিদর্শন করেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। আর এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যেখান থেকে বাঁধ ভাঙার খবর এসেছে সেখানে আমি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করেছি। সেচ দফতর দ্রুত কাজ করছে।’ নবান্ন সূত্রে খবর, আজ শনিবার এলাকা পরিদর্শন করে দফতরের পদস্থ কর্তা, ইঞ্জিনিয়ার, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক এবং অন্যান্য অফিসারদের নিয়ে বৈঠকে ক🍌রবেন মন্ত্রী। সেখানে উপস্থিত থাকবেন গঙ্গাসাগর বকখালি উন্নয়ন পর্ষদের কর্তারাও।
অন্যদিকে এই ভাঙন নিয়ে চিন্তা বেড়েছে রাজ্য সরকারেরও। তাই সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক জানান, ভাঙন রোধে পাকাপাকি ব্ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚযবস্থা করতে হবে। এই কারণে মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হচ্ছে। গঙ্গাসাগর মেলার আগেই তা বাস্তবায়িত হবে। কপিলমুনি আশ্রমের যাতে কোনও ক্ষতি না হয় সেটা নজর রেখেই যাবতীয় পরিকল্পনা করা হবে। কপিল মুনির আশ্রম থেকে পাঁচটি রাস্তা যা সাগরে মেশে সেটার আশেপাশে পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। এই পরীক্ষা চালিয়ে যে রিপোর্ট মিলবে তার ভিত্তিতে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে। কারণ এই ভাঙন যদি বাড়তে থাকে তাহলে আরও বড় ক্ষতি হতে পারে।
আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কাণ্ডে নাম জড়াল🦩 বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের, ꧟সুর চড়াল তৃণমূল
আর কী জানা যাচ্ছে? এক বছর আগে আইআইটি চেন্নাইকে একটি সমীক্ষার দায়িত্ব দিয়েছিল গঙ্গাসাগর বকখালি উন্নয়ন পর্ষদ। সেই রিপোর্ট হাতে এসেছে বলেই সূত্রের খবর। সেই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই আজকের বৈঠক বলে জানা গিয়েছে। ২০২২ সালে সাগরপারের অনেকটা এলাকায় টেট্রাপড নামক একধরনের বোল্ডার বসানো হয়েছিল। তাতে ক্ষয় অনেকটা রোধ করা গিয়েছে। তবে এবার তার থেকেও উন্নত পদ্ধতি ব্যবহারের চেষ্টা চলছে। তবে গঙ্গাসাগরের উপর চাপ কমানোর পরামর্শ দিয়েছ෴ে বিশেষজ্ঞরা। তবে আর কোন পরিকল্পনা করা হয় এখন সেটাই দেখার।