তফসিলি উ🦂পজাতির স্বীকৃতি আদায় করতে এবার একজোট হলেন পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমের গোর্খা উপজাতিভুক্তরা। তাঁদের সম্মিলিত দাবি, প্রায় একডজন গোর্খা উপজাতিকে তফসিলি উপজাতি বা এসটি শ্রেণিভুক্ত করতে হবে।
রবিবার শিলিগুড়িতে এই মর্মে একটি জরুরি বৈঠক ডাকা হয়। সেই বৈঠকে যোগ দেন পশ্চিমবঙ্গের 'বঞ্চিত' ১১টি গোর্খা উপজাতি এবং সিকিমের'বঞ্চিত' ১২টি গোর্খা উপজাতির প্রতিনিধিরা। এই বৈঠকে🃏র পৌরহিত্য করেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং গোলে।
বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'আদিবাস🔜ী স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য - সিকিম ও দার্জিলিং থেকে প্রতিনিধিদের নিয়ে - একটি যৌথ প্রতিনিধি দল গঠন করা হয়েছে। এই দলে পশ্চিমবঙ্গের পাঁচজন এবং সিকিমের পাঁচজন প্রতিনিধি রয়েছেন। এবার থেকে এই দলের নেতৃত্বেই আন্দোলন চলবে এবং পরবর্তী রণকৌশল স্থির করা হবে।'
এই বৈঠকে উপস্থিত অন্য়দের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন, দার্জিলিংয়ের সাংসদ তথা বিজেপি নেতা রাজু বিস্তা। যাঁর উপস্থিতি ও মন্তব্য সব মহলেরই নজর কেড়েছে। এছাড়াও ছিলেন সিকিমের লোকসভার সাংসদ ইন🔴্দ্র হাং সুব্বা এবং সিকিমের রাজ্যসভার সাংসদ ডি টি লেপচা। এছাড়াও, সিকিমের কয়েকজন মন্ত্রী এবং পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার কয়েকজন সদস্যও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় বিজেপি তাদের নির্বাচনী ইস্তাহারে প্র🔯তিশ্রুতি দিয়েছিল, তাদের সরকার গঠিত হলে ১১টি 'বঞ্চিত' গোর্খা উপজাতিকে তফসিলি উপজাত✤িভুক্ত করা হবে।
কিন্তু, বিজেপি উনিশের লোকসভা নির্বাচনে জিতে কেন্দ্রে সরকার গড়ে। তার পাঁচবছর পর 🗹সদ্য চব্বিশের নির্বাচনের পরও বিজেপির নেতৃত্বে কেন্দ্রে এনডিএ স🤡রকার গঠিত হয়। কিন্তু, গোর্খাদের সংশ্লিষ্ট ১১-১২টি উপজাতির দাবি আজও পূরণ করা হয়নি।
অভিযোগ, এর ফলে পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিম, দুই রাজ্যেরই সংশ্লি🐎ষ্ট গোর্খা উপজাতিভুক🌺্তরা তাঁদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এই প্রেক্ষাপটে, সম্প্রতি সিকিমে💞র রাজ্যসভার সাংসদ ডি টি লেপচাকে, তাঁর করা প্রশ্নের লিখিত জবাব দেন কেন্দ্রের আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রী জুয়েল ওরাওঁ। তাতে তিনি জানান, ভারতের রেজিস্ট্রার জেনার𝕴েল সিকিম সরকারের প্রস্তাবে রাজি নয়।
উল্লেখ্য, সিকিম সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্ღযের ১২টি গোর্খা উপজাতি এসটি স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। এই ১২টি উপজাতির মধ্য়ে রয়েছে - মাঝি, কিরাট/খাম্বু/রাই, গুরুং, মাঙ্গার, থামি, সন্ন্যাসী (যোগী), বাহুন, ছেত্রী, ভুজেল, কির꧋াট/দেওয়ান, সুনুওয়ার এবং নেওয়ার।
কেন্দ্রের মন্ত্রী তাঁর জবাবে জানান, 'আজিআই জানিয়েছেন, এই বিষয়টি ইতিমধ্যেই দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হয়েছে ✅এবং তারা সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবে সায় দেয়নি।'
মন্ত্রী যে চিঠি পাঠিয়েছেন, তাতে গত ১০ সেপ্টেম্বরের তারিখ রয়েছে। উল্লেখ্য, দার্জিলিংয়ের ব꧙াসিন্দা ও নেতাদেরও এই ইস্যুতে একই জ🙈বাব দেওয়া হয়েছিল।
কেন্দ্রের মন্ত্রী রাজ্যসভার ওই সাংসদকে আরও জানান, নির্ไধারিত পদ্ধতি অনꦏুসারে, সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার অথবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনের তরফে দেওয়া প্রস্তাব এবং অন্য ন্যায়সঙ্গত প্রস্তাবগুলি বিবেচনা করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে, তফসিলি উপজাতির জন্য গঠিত জাতীয় কমিশন এবং রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়াকে আইন সংশোধন করার বিষয়ে সহমত হতে হবে।
একটি আরটিআই আবেদনের ভিত্তিতে এই প্রসঙ্গে আরজিআই জানান, ২০১৪ সালে পশ্চি🦄মবঙ্গ সরকার রাজ্য়ের ১১টি গোর্খা উপজাতিকে তফসিলি উপজাতিভুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু, সেই প্রস্তাবও মানা সম্ভব হয়নি।
এরꦗপর সিকিম সরকারের পাঠানো প্রস্তাবেরও একই পরিণতি হওয়ায়, সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, এবার নিজেদের দাবি আদায়ের জন্য একজোট হয়ে লড়াই করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।
বিষয়টি নিয়ে রবি♏বারের বৈঠকে আলোচনা হওয়ারℱ পর বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা বলেন, 'এবার আমরা একজোট হয়ে লড়াই শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'
বিজেপি নেতা তথা সাংসদ🎀 রাজু বিস্তা বলেন, 'এই দাবি পূরণ করতে🌟 হল রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলির বক্তব্য আর ভারত সরকারের বক্তব্য এখানে আলাদা। আমরা বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকার, উভয়ের উপরেই চাপ বাড়াচ্ছি। এরপরও যদি সরকার না বোঝে, তাহলে দার্জিলিং থেকে সিকিম পর্যন্ত মিছিল করা হবে।'
রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, তাহলে কি গোর্খাদের দাবি আদায় করার জন্য নিজের দল এবং সেই দলের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধেই 'যুদ্ধ ঘোষণা' করবেন দার্জি✅লিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা? তাঁর এই বক্তব্য নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক মহলের নজর কেড়েছে।