হাতে আর বেশি সময় নেই। আর🙈 পাঁচদিন পরই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়ে যাবে ▨দুর্গাপুজো। ইতিমধ্যেই গোটা রাজ্যে সাজ সাজ রব। শহর থেকে গ্রামবাংলা দুর্গাপুজোর প্রস্তুতিতে চূড়ান্ত ব্যস্ত। একের পর এক দুর্গাপুজো উদ্বোধন করে চলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা বলে কি পিছিয়ে থাকবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস? না, তিনি পিছিয়ে থাকবেন না। আর এগিয়ে যাওয়ার জন্য দুর্গাপুজো উদ্বোধন করতে কাঁথি যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পূর্ব মেদিনীপুরের দুটি লোকসভা কেন্দ্র এখন বিজেপির। তমলুক এবং কাঁথি। তার উপর নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। যিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতাও।
আর আজ, শুক্রবার বিকেলে শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলে সূত্রের খবর। শুভেন্দুর ভাইয়ের দুর্গাপুজোর উদ্বোধন শেষে রাতেই ক꧒লকাতা ফিরবেন রাজ্যপাল। এই খবর চাউর হতেই রাজ্যপালকে বিঁধেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতারা। শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী এখন কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ। বেছে বেছে বিজেপির দুর্গাপুজো উদ্বোধন করার সিদ্ধান্তে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। এমনকী প্রথম উদ্বোধনের ক্ষেত্রে বিজেপি সাংসদের দুর্গাপুজোকে বেছে নিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষায় প্রয়োজনে আর একটি যুদ্ধ হবে, বিবৃতি দিল আওয়ামি লিগ
মহালয়া দু’দিন আগে হয়ে গিয়েছে। সুতরাং এখন দেবীপক্ষ। অর্থাৎ দুর্গাপুজো শুরু হয়ে যাওয়া বলা যেতে পারে। বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসবের সূচনা ঘটে গিয়েছে। পথচলতি মানুষজনকে দেখলে সেটা আরও বেশি করে বোঝা যাচ্ছে। কারণ রাস্তায় এখন থেকেই নেমে পড়েছেন মানুষজন। পুজো মার্কেটিং থেকে শুরু করে যেসব দুর্গাপুজোর উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে সেখানে ভিড় জমিয়েছেন তাঁরা। বুধবার, মহালয়ার দিন মুখ্যমন্ত্রী পুজো উদ্বোধন করেছেন। বুধবার তারপর বৃহস্পতিবারও কলকাতার নানা পুজোমণ্ডপ খুলে গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোঁয়ায়। এবার দুর্গাপুজো উদ্বোধনে কাঁথি যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই ক্লাবের দুর্গাপুজোর দায়িত্বে অধিকারী পরিবারের ছেলে তথা সাংসদ সৌমেন্দু অধিকারী।