জ্ঞানেশ্বরী প্রতারণাকাণ্ডে নয়া মোড়। হাওড়া সালকিয়ার এক পরিবারের চাঞ্চল্যকর দাবি ঘিরে এ🌺বার রহস্যের দাঁনা বাঁধল। ওই পরিবারের দাবি, জ্ঞানেশ্বরী দুর্ঘটনার পর থেকে বাড়ির কর্তা এখনও নিখোঁজ! তাঁরই দেহ পেয়েছিল অমৃতাভের পরিবার! হাওড়ার ওই পরিবারের এই দাবি ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। 🌸সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কার দেহ শনাক্ত করেছিল অমৃতাভের পরিবার? কারই বা ক্ষতিপূরণ ও চাকরি পাওয়ার কথা?
হাওড়ার সালকিয়ার ওই নিখোঁজ ব্যক্তির নাম প্রসেনজিৎ আটা। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন তিনি। তাঁর স্ত্রী গুরুতর অসুস্থ বলে জানিয়েছে মেয়ে পৌলমী। তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে জা��নাচ্ছেন, জ্ঞানেশ্বরী কাণ্ডের পর থেকেই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন প্রসেনজিৎ। তাঁদের আরও দাবি, তাঁর দেহই নিজের ছেলে বলে শনাক্ত করেছিলেন অমৃতাভের পরিবার। যার জেরে ক্ষতিপূরণ ও চাকরি দু’টোই পেয়েছেন তারা। অথচ রেলের নথিতে এখনও নিখোঁজ প⛦্রসেনজিৎ।
তাঁদের আরও দাবি, দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনেই ছিলেন প্রসেনজিৎ। ঘটনায় তাঁদের দেহ শনাক্ত করতে ডাকা হয়েছিল। দেহগুলোর মধ্যে থেকে একটি দেহের হাতে থাকা চারটে আংটি মিলে যাওয়ায়, প্রসেনজিতের দেহ বলে শনাক্ত করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ, সেই দেহ তাঁদের দেওয়া হয়নি। কিন্তু ঘটনার ১১ বছর কেটে গেলেও সেই মৃত্যু শংসাপত্র পাননি তাঁরা। অথচ রেলের নথিপত্রে এখনও নিখোঁজ প্রসেনজিত্। এপ্রসঙ্গে নিখোঁজের স্ত্রী যুথিকা আটা বলেন, ‘যে দেহ পাওয়া গিয়েছিল, 🍷আমার দৃঢ় ধারণা, ওটাই আমার স্বামীর মৃতদেহ।’ একই দাবি প্রসেনজিতের মেয়ে পৌলমী আটারও। যুথিকা আটা আরও বলেন, ‘ স্বামীর মৃত্যুর শংসাপত্র না পাওয়ায়, এতবছর ধরে নানা সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে। ন্যায্য অধিকার পেলাম না। অথচ ওই মানুষটি জীবিত অবস্থায় সবকিছু উপভোগ করছে🌳ন।
প্রসেনজিতের এক আত্মীয় কৈশব পয়াত বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর দেহ শনাক্ত করতে গিয়েছিলাম। মর্গে আমাকে একটি দেহ দেখানো হয়। অবশ্য দেহটি সম্পূর্ণ বিকৃত অবস্থায় ছিল। কিন্তু দেহের হাতে প্রসেনজিতের হাতের আংটির মতোই অবিকল চারটি আংটি মজুত ছিল। ওই দেহটিকে আমরা প্রসেনজিতের দেহ বলে শনাক্ত করেছিলাম। কিন্তু পরে আমাদের জানানো হয়, দেহটি নিয়ে চলে গিয়েছে কেউ। আমাদের ধারণা দেহটি কাউকে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’ এই পুরো ঘটনায় রেলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে চাকরির ও তদন্তের দাবি জানিয়েছে জ্ঞানেশ্বরী কাণ্ডে 𝐆নিখোঁজের পরিবার।