একেবারে রীতিমতো হেরোইন শিল্প। বর্ধমান শহরের মধ্য়ে🌳ই কার্যত কারখানা গড়ে হেরোইন প্রক্রিয়াকরণ করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। গোপন সূত্রে অভিযান চালায় এসটিএফ। এরপরই সামনে আসে ভয়াবহ তথ্য। শহরের মধ্যেই চলছিল আন্তঃরাজ্য মাদক চক্র। প্রায় ৬৫ কোটি টাকার হেরোইন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। হেরোইন প্রক্রিয়াকরণের জন্য় প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এদিকে গোটা ঘটনায় ইতিমধ্যে ৬জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন এই রাজ্যের বাসিন্দা। বাকি চারজনের মধ্যে দুজন মণিপুরের ও দুজন ওড়িশার বাসিন্দা। তাদের কাছ থেকে নগদ ২০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত ♋করা হয়েছে। তবে একেবারে শহরের মধ্যে হেরোইনের এমন রমরমা কারবারের কথা শুনে হতবাক বাসিন্দারা।
ঠিক কীভাবে এই মাদকের কারবার চলত? সূত্রের খবর, মণিপুর থেকে কাঁচামাল এখানে আসত। এরপর বর্ধমান শহরের শ্রীপল্লি এলাকার একটি বাড়িতে তা প্রক্রিয়াকরণ করা হত। এরপর সেখান থেকে হাতবদল করে তা পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ওড়িশার বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হত। রীতিমতো সমস্ত পরিকাঠামো সাজিয়েই তৈরি হচ্ছিল হেরোইন। অভিযোগ কোটি কোটি টাকার কারবার চালানো হচ্ছিল। নানা রাসায়নিক উপাদান, ওজনের যন্ত্র, প্যাকেট সিল করার মেশিন, নগদ টাকা গোণার জন্য মেশিন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর সঙ্গেই ১৩ কেজি হেরোইন ও অপরিশোধিত কিছু হেরোইন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কতদিন ধরে এই কারবার চলছিল, আর কারা এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। হাওড়ার গোলাবাড়ি থানাতেও এনিয়ে মামলা রুজু করে তদন্ত চালাচ্ছে এসটিএফ। প্রসঙ্গত এℱর আগে লালগোলাতে এই ধরনের হেরোইন তৈরির অভিযোগ উঠত। তবে ২০১৮ সালে ব্যাপক ধরপাকড়ের পর এই প্রবণতা কিছুটা কমে।