ইদের উৎসবে চলছিল সকাল থেকেই আনন্দ, হইচই। নমাজ পাঠ শেষ করে সকলে তখন নিজেদের মতো করে সময় কাটাচ্ছেন। আর তখনই উৎসবের মধ্যেই ঘটে গেল মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা। মুহূর্তে মধ্যে শেষ হয়ে গেল সব। আর এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। সুতরাং খুশির ইদ বদলে গেল বিষাদে। নমাজ পড়ে আর বাড়ি ফেরা হল না। পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক তরুণের। আর একজন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় হুগলির পাণ্ডুয়া ব্লকের সিমলাগড় এলাকায় দুই বন্ধুর সঙ্গে এমনই ঘটেছে। ♔মোটরবাইকের পিছনে বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় এই মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, ইদের নমাজ শেষ করে পান্ডুয়া সিমলাগড় মাঠপাড়ার বাসিন্দা শেখ আরিফ এবং তাঁর বন্ধু শেখ সাইদ ন✤ামে দুই তরুণ মোটরবাইক নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। বৈঁচির দিক থেকে তখন পান্ডুয়ার দিকে যাচ্ছিলেন তাঁরা। আরিফই মোটরবাইক চালাচ্ছিলেন। কিন্তু সিমলাগড় ১৯ নম্বর রেলগেট পার করে মোটরবাইক বাস স্ট্যান্ডের কাছে নিয়ে যেতেই পিছনদিক থেকে দ্রুতগতিতে আসা একটি বেপরোয়া বাস তাতে ধাক্কা মারে। মৃত তরুণের নাম শেখ আরিফ। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: মহিলা সম্মান সেভিংস সার্টিফিকেট প্রকল্প বন্ধ করছে কেন্দ্রীয় সরকার, কেন এমন পদক্ষেপ?
অন্যদিকে হুগলির পাণ্ডুয়া ব্লকের সিমলাগড় মাঠপাড়ার বাসিন্দা শেখ আরিফ এবং শেখ সাইদ। এঁরা দু’জনেই খুব ভাল বন্ধু। বাসের ধাক্কায় দুজনই রাস্তার মাঝখানে ছিটকে পড়েন। আর রক্তাক্ত অবস্থায় তড়িঘড়ি দুজনকে উদ্ধার করে পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই শেখ আরিফকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। আর শেখ সাইদকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাঠানো হয় চুঁচুড়া সদর হাসপাতালে বলে খবর। যেখানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। ইদের দিন এমন ঘটনায় শেখ আরিফের পরিবার কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। দুশ্চিন্তায় আছেন শেখ সাইদের পরিবারের সদস্যরা।
তাছাড়া পাণ্ডুয়া থানার পুলিশ এই পথ দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘাতক বাস এবং বাসের চালককে আটক করেছে পুলিশ। ইদের দিন এমন ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়। পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ ইমামবাড়া হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সি𝔉মলাগড় মাঠপাড়া এলাকায় এখন শুধু এই একটাই চর্চা। শেখ আরিফের পরিবারে আ🅠জকের ইদ মোটেই খুশি বয়ে নিয়ে এল না। বরং শোকস্তব্ধ করে দিল।