মুর্শিদাবাদে ভয়াবহ অশান্তꦍি কার্যত রাজ্যের দুঁদে গোয়েন্দাদের কপালেও চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে 𝓡আন্দোলন এমন মারমুখি আচমকা হওয়া কি সম্ভব? একাধিক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে হামলার পেছনে একেবারে পেশাদারি ছক রয়েছে। এমনকী কোন জায়গায় পুলিশকে আটকে দিয়ে কোন জায়গায় হামলা চালাতে হবে তারও নিপুন ছক। কোথাও আবার সিসি ক্যামেরা ভাঙা হয়েছে। এটা কি আদৌ আচমকা জনতার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হতে পারে?
এদিকে এই হামলার সঙ্গে অনেকে আবার বাংলাদেশের একাধিক অশান্তির মিল খুঁজে পাচ্ছেন। বর্তমান সংবাদমাধ্য়মের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের🐟 সুতি, ধুলিয়ান ও সামসেরগঞ্জের বিভিন্ন অংশকে উপদ্রুত বানানোর নীল নকশা তৈরি হয়েছিল তিন মাস ধরে। গোয়েন্দাদের ধারণা একটা🦩 ইস্যুর অপেক্ষা করা হচ্ছিল। আর সেটা হয়েছে ওয়াকফ বিরোধিতা।
সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, এপারের সুযোগসন্ধানীদের উস্কানি, ইন্ধন, সাহায্য এমনকী গেরিলা কায়দায় হামলা চালানোর জন্য কিছু লোকজন চোরাপথে এসেছে বাংলাদেশ থেকে। তারা কি🍃ছু অনুমোদনহীন খারিজি মাদ্রাসায় একমাস ধরে আশ্রয় নিয়েছিল। অভিযোগ এমনট💎াই।
এমনকী ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে হাঙ্গামার দিন দিকনিꦬর্দেশ করতে সীমান্তের ওপার থেকে অন্তত ৩০টির বেশি ফোন এসেছে জঙ্গিপুর মহকুমায়। গোয়েন্দারা ইতিমধ্য়েই অন্তত ৫০জনের হদিশ পেয়েছেন যারা হাঙ্গামার ছকের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে অভিযোগ। প্রায় ৭০টি সন্দেহজনক মোবাইল কলকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে খবর।
গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন গত ফেব্রুয়ারি মাসে লালগোলা সী𝕴মান্তের এক প্রত্যন্ত গ্রামে বিশেষ সভায় এসেছিল দুই 'বাংলাদেশি'।
তবে এই হামলার পেছনে দুটি সূত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওই প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, পরিকল্পনা মতো হামলা ও অস্থিরতা তৈরির জন্য অর্থ এসেছে তুরস্ক থেকে। এমনকী কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় একটা সময় ছিল যখন নিরা𝓡পত্তা বাহিনীকে নিশানা করে পাথর ছোঁড়া হত। মুর্শিদাবাদেও কার্যত একই কায়দা প্রয়োগ করা হয়েছিল। পাথর ছোঁড়ার জন্য় এখানে ৫০০ থেকে🧸 ১০০০ টাকা করে মিলেছে বলে খবর।
এমনকী গত দুমাস ধরে এই পাথর জোগাড় করা হয়েছে। জঙ্গিপಞুর ൲মহকুমার যে অংশে রেলপথ রয়েছে সেখান থেকে দিনের পর দিন ধরে পাথর জোগাড় করা হয়েছে বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন। খারিজি মাদ্রাসার পাশাপাশি কিছু বাড়ির ছাদেও মজুত করা হয়েছিল পাথর। রেললাইন থেকে অনেক দূরে সেই পাথরের উপস্থিতি মিলেছে।
তবে এতসব কি🌌ছুর পরেও একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে এত কিছু হল দিনের পর দিন ধরে রাজ্যের কাছে কোনও খবর কি আগাম গিয়েছিল?