ফের রামকৃষ্ণ মিশনের জমি দখলের অভিযোগ। ফের অভিযোগ শিলি☂গুড়িতে। এবার শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় উঠল সেই অভিযোগ। এর আগে শালুগাড়াতেও এই ধরনের অভিযোগ উঠেছিল। সেবার তৃণমূলের একাধিক স্থানীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। এবার মাটিগাড়ায় উঠল মিশনের জমি দখলের অভিযোগ।
সাহুডাঙ্গি রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক স্বামী বিনয়ানন্দ মহারাজ জানিয়েছেন, আমাদের জমি 🦋দꦓখল হয়ে গিয়েছে। মেয়র আশ্বাস দিয়েছেন দেখবেন বলে। আমরা চাই যাতে জমিটা ফেরত পাই। মেয়র গৌতম দেব বলেন, অনেক দিন আগের ঘটনা। সন্ন্যাসীরা বলছেন জমির মিউটেশন যেন মিশনের নামে করে দেওয়া যায়।
সূত্রের খবর, বাগডোগরার দিকে যাওয়ার পথে মাটিগাড়া এলাকায় রামকৃষ্ণ মিশনের প্রায় ৯.৯০ একর জায়গা ছিল। এই জায়গার মধ্য়ে কিছুটা কিনেছিল মিশন। আর কিছু জায়গা দানের মাধ্য়মে প্রাপ্ত।কিন্তু সেই জমির একাংশ দখল হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্য়েই সেই জমি উদ্ধারের জন্য় চেষ্টা চালাচ্ছে রামকৃষ্ণ মিশন। শুক্রবার মিশনের সন্ন্যাসীরা শিলিগুড়ি কর্পোরেশনের মেয়র গৌতম দেবের সঙ্গে দেখা করেন। ইতিমধ্য়েই বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও দার্জিলিংয়ে🌌র জেলাশাসকের কাছেও তাঁরা গোটা বিষয়টি জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন।
এদিকে শিলিগুড়িতে জমি বেদখলের অভিযোগ নতুন ꦑকিছু নয়। মাটিগাড়া, কাওয়াখালির একাংশ, বাগডোগরা, শালুগাড়া সহ বিভিন্ন জায়গায় একাধিকবার উঠেছে জমি বেদখলের অভিযোগ । সম্প্রতি এই জমি বেদখল নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই জমি বেদখ🐈লের বিরুদ্ধে নড়েচড়ে বসেন সরকারি আধিকারিকরা। পুলিশও সক্রিয় হয়।
তবে এবার রামকৃষ্ণ মিশনের দখল হওয়া জমি ফের ফেরৎ আসবে কি না সেটাই দেখার। কারণ যারা এই জমি দখলের সঙ্গে যুক্ত থাকে তারা সচরাচর যথেষ্ট প্রভাবশালী। তারা রাজনৈতিক ক্ষমতাতেও বলীয়ান। তার জেরে জমি ফেরৎ পাওয়া কতটা সুবিধাজনক তা নিয়ে সংশয়টা থেকেꦍই গিয়েছে। তবে মিশনের যে জমি সেটা বহুদিন আগে ধাপে ধাপে দখল হয়েছে বলে খবর।
গত ১৯শে মে শালুগাড়ার রামকৃষ্ণ মিশনের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছিল। শাসকদলের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে উঠেছিল অভিযোগ। তবে শেষ পর্যন্ত সেই জমি উদ্ধারের ব্যাপারে সক্রিয় হয় পুলিশ প্রশাসন। প✤রে সেই জমি দখলে অভিযুক্ত৮জনকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে শুধু ৮জন নয়, শিলিগুড়িতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে প্রচুর প্রভাবশালী জমি মাফিয়া। তারা থাকেন রাজনৈতিক আশ্রয়ে। 🔜তার জেরে সাময়িকভাবে পুলিশ প্রশাসন নড়েচড়ে বসলেও এই জমি মাফিয়ার চক্র পুরোপুরি শেষ করা যায় না।