পুজোমণ্ডপে বন্ধুদের সঙ্গে ব্যাপক নাচছিলেন এক যুবক। সেটা দেখতে পান তাঁর স্ত্রী। দুর্গাপুজোর সময় চলছিল এই নাচ। পাড়ার মধ্যে এভাবে বন্ধুদের সঙ🉐্গে নাচা পছন্দ হয়নি স্ত্রীর। তাই স্বামী বাড়ি ফিরতেই তাঁর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বচসা বাধে। পাল্টা জবাব দেন যুবক স্বামীও। তাতে ঝগড়ার মাত্রা আরও বেড়ে যায়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয যে, গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী হন গৃহবধূ। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার পানুহাট দাসপাড়ার ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
ঠিক কী তথ্য পেয়েছে পুলিশ? পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত গৃহবধূর নাম চিন্তা দাস (২৭)। মহানবমীর রাতে বাড়িতেই নিজের গায়ে আগুন দেন স্ত্রী চিন্তা। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবার বিজয়া দশমীর দিন এ🍬ই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। এই ঘটনা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। একটি অসꦺ্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ঠিক কী ঘটেছে কাটোয়ায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, পানুহাট দাসপাড়া এ⭕লাকার বাসিন্দা মিঠুন দাস। তিনি ডেকরেটার্স ব্যবসায়ীর কাছে প্যান্ডেল মিস্ত্রির কাজ করতেন। তাঁর ♓স্ত্রী চিন্তা দাসের বাপেরবাড়ি কেতুগ্রামের গঙ্গাটিকুরি গ্রামে। আট বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। দু’টি কন্যাসন্তানও আছে। মিঠুন🐻ের দাদা উত্তম দাস জানান, পাড়ার বারোয়ারি দুর্গাপুজোয় নবমীর রাতে পুজোমণ্ডপে নাচেন মিঠুন। পাড়ার যুবকদের সঙ্গে নাচানাচি পছন্দ হয়নি মিঠুনের স্ত্রী চিন্তার। রাতে বাড়ি ফিরতেই দু’জনের মধ্যে অশান🔯্তি চতমে ওঠে। তার পর রাতে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী হন চিন্তা।
আর কী জানা যাচ্ছে? রাতে স্বামী–স্ত্রী মধ্যে অশান্তি প্রতিবেশীরা শুনতে পান। তবে এই ঝগড়ার পর দু’জনেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। মাঝরাতে হঠাৎই ঘুম ভাঙে মিঠুনের। তখন তিনি দেখেন স্ত্রীর শরীর দাউদাউ করে জ্বলছে। মিঠুন চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডাকেন। আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। আগুনে সামান্য পুড়ে জখম হন মিঠুনও। আর স্ত্রী চিন্তাকে কাটোয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া🅺 গেলে বুধবার মৃত্যু হয় তাঁর। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।