নৃশংস খুনের ঘটনা ঘটল নদিয়ায়। তৃতীয় পক্ষের স্ত্রীকে খুন করে স্বামী সেই দেহ নির্ম🍰ীয়মাণ শৌচালয়ে পুঁতে ঢালাই করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। শুধু তাই নয়, এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই পলাত🥃ক সেই স্বামী। পুলিশ এই ব্যক্তিকে এখন হন্যে হয়ে খুঁজছে। নদিয়ার ধানতলা থানার শংকরপুর ত্রিনাথতলায় ঘটনাটি ঘটেছে। যা নিয়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, নদিয়ার ধানতলা থান꧟ার শংকরপুর ত্রিনাথতলার বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ রায়। এর আগে তাঁর অত্যাচারে প্রথম ও দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী পালিয়ে যায়। তাঁর বৃদ্ধ বাবা এবং ১৩ বছরের পুত্রসন্তান রয়েছে। টোটো চালিয়ে রোজগার করত সে। কয়েকমাস আগেই তৃতীয় বিয়ে করে রবীন্দ্রনাথ। সোদপুরের বাসিন্দা মাম্পি চক্রবর্তীকে বিয়ে করে রবীন্দ্রনাথ। এবার তাঁকে খুন করে।
কিভাবে প্রকাশ্যে এলো এই খুনের ঘটনা? পুলিশ সূত্রে খবর, এই রবীন্দ্রনাথ বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে ব𝓡ৃহস্পতিবার মদের আসর বসিয়েছিল। সেখানে নেশায় বুঁদ হয়ে পড়ে সে। তখন বাড়ি ফেরার কথা বন্ধুরা বললে সে জানায় বাড়ি ফেরার দরকার নেই। সে স্ত্রীকে খুন করে মাটির তলায় পুঁতে দিয়েছে। মাথায় আঘাত করে মাম্পিকে খুন করার কথা স্বীকার করে নেয় সে। একটু সম্বিৎ ফিরতেই এলাকা ছাড়ে রবীন্দ্রনাথ।
এই ঘটনা বন্ধুরা ܫপুলিশকে জানিয়ে দিয়েছে। স্ত্রীকে খুনের কথা গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ঢালাই ভাঙতেই উদ্ধার হয় মাম্পির দেহ। সেই দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। মাম্পিকে খুনের বিষয়ে রবীন্দ্রনাথের বাবা এবং ছেলে কিছুই জানে না বলে দাবি। গোটা ঘটনায় তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।