ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়ি উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চিঠি এল মতুয়া মহাসংঘের নেতা তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের কাছে। সোমবার দুপুরে জঙ্গি সংগঠন লস্কর ই তৈবার নাম করে এই চিঠি পৌঁছয় তার কাছে। চিঠিতে দেগঙ্গার বাসিন্দা এক ব্যক্তি হুমকি দিয়ে লিখেছেন, দেশে CAA কার্যকর হলে ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়ি বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হবে। ঘটনায় কিছুটা ꦬআশঙ্কিত শান্তনু ঠাকুর প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ইতিমধ্যে বিষয়টি জাജনিয়েছেন।
শান্তনু ঠাকুরকে হুমকি চিঠি
তাঁর কাছে আসা চিঠি প্রকাশ করে শান্তনু বলেন, আমার কাছে হুমকি চিঠি এসেছে। আমি সেকথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। সংবাদমাধ্যম 𝓰দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকেও জানানোর চেষ্টা করছি।
টাইপ রাইটারে বাংলা হরফে টাইপ করা ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, দেশে CAA লাগু হলে ঠꦅাকুরনদর ঠাকুরবাড়ি বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ꦇা হবে। ক্ষতি করা হবে ঠাকুর পরিবারের সদস্যদের।
বলে রাখি, শনিবার থেকে ঠাকুꩲরনগরে শুরু হয়েছে বারুনি মেলা। স্নান পর্ব মিটলেও রোজ মেলায় আসছেন হাজার হাজার মানুষ। তারই মধ্যে এই হুমকি চিঠিতে ঠাকুরবাড়ি ছাড়াও সেখানে আসা সাধারণ ꦜমানুষের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
মমতাবালার দাবি নাটক
ওদিকে এই চিঠিক𒊎ে নাটক বলে দাবি করেছেন, তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। তিনি বলেন, রবিবার রাতে বড়মার ঘরে ঢোকার জন্য শান্তনু যা করেছে সেদিক থেকে নজর ঘোরাতে এসব নাটক করছে। কেউ কোনও চিঠি দেয়নি সব বানানো।
রবিবার বারুনি স্নানের পরদিন ঠাকুরবাড়ির পারিবারিক কোন্দল চরমে পৌঁছয়। তাঁর ঠাকুমা বিনাপাণি দেবীর ঘর তৃণমূল সাংসদ তথা তাঁর জ্যেঠিমা মমতাবালা ঠাকুর তালা দিয়ে রেখেছেন বলে অভিযোগ করেন শান্তনু। এর পর হাতুড়ি দিয়ে তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেন তিনি। ওই ঘরকে হেরিটেজ ঘোষণার দাবি তোলেন তিনি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা ছড়ায় ঠাকুরনগরে। দুপক্ষের সমর্থকরা একে অপরের দিকে তেড়ে যান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। ওদিকে শান্তনু ঠাকুরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় নিরাღপত্তারক্ষীরা সক্রিয় হয়ে ওঠেন। সব মিলিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈ💟রি হয় সেখানে।
পালটা মমতাবালা ঠাকুর দাবি করেন, ওই ঘরের দেখভাল করেন তিনিই। শান্তনু তাঁকে ও তাঁর মেয়েকে ধাক্কা দিয়ে সেই ঘরে জুতো পরে প্রবেশ করেছেন। এরই মধ্যে হুমকি চিঠিতে ঠাকুরনগরে নতুন করে ভক্তদের মধ্যে চাঞ𝓰্চল্য ছড়𓂃িয়েছে।