গত চার সপ্তাহে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় তিনগুণ বেড়েছে। রাজ্য জুড়ে এ বছর ৩৬ সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল 💝১৫,৬৯৪। শেষ ৪০ সপ্তাহে তা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪১,৪১০-এ। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে আক্টোবর পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে। তার পর থেকে আবার কমতে শুরু করবে।
স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিকের মতে, বর্যা চলে গেলেও ডেঙ্গিযে কমে যাবে তেমনটা নয়। কারণ, বর্ষার পরও বিভিন্ন জায়গায় জমা জল থাকে। স🅰েই জমা জলে মশার লার্ভার জন্মায়। যত দিন না সেই জমা জল শুকোচ্ছে ততদিন ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকবে। তবে ঠান্ডা পড়লে আস্তে আস্তে ডেঙ্গিআক্রান্তের সংখ্যা কমবে।'
তবে সূত্রের দাবি, গত বছর কলকাতা ডেঙ্গিসংক্রমণের কেন্দ্রে ছিল। এ বছর তুলনামূলক ভাবে কম♍ ডেঙ্গিআক্রান্ত হয়েছে শহরে। গত বছর এই সময়ে প্রতি সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২০০০জন। এ বছর তা কমে হয়েছে ১০০০। শেষ পাঁচ সপ্তাহে রাজ্য জুড়ে ১,৩৭,৭৯৬ জন ডেঙ্গিআক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগটাই হয়েছে গ্রামাঞ্চলে। ৮৯,০৫১ জন গ্রামে এবং ৪৮,৭৪৫জন শহরে আক্রান্ত হয়েছে। গত এক সপ্তাহে ৪১,৪১০ জন আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১৫,০৭১ জন শহরে, ২৬,৩৩৬ জন গ্রামে।
(পড়তে পারেন। পুজোয় ব্যানার, হোর্ডিং থেক♌ে দৃশ্যদূষণ রুখতে কঠোর সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা)
(পড়তে পারেন। সামাজিক সুরক্ষার আওত𓂃ায় স্বাস্থ্য মিশনের চিকিৎসক ও কর্মীরা, উপকৃত হবেন ২২ হাজার)
মাইক্রোবায়োলজিস্ট ভাস্করনারায়ণ চৌধুরী টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেন, 'গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গিবাড়ার কারণ হল শহরীকরণ, মাটির দ্রব্যের বদলে প্ল্যাস্টিক এবং ধাতব বস্তুর ব্যাপক ব্যবহার, ব্যাপক ভাবে শহরে যাতায়াত। তাছাড়া গ্রামে এডিস ইজিপ্টাই মশারඣ বেড়েছে। এই সব কারণে গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গি বাড়ছে।' অপরিকল্পিত দ্রুত নগরায়নও এর কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, এ বছর উত্তর ২৪ পরগনায় ডেঙ্গিআক্রান্তের সংখ্যা বেশি। এর বড় অংশ শহরের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা করাতে এসেছেন। বেলেঘাটা আই▨ডিতেই বর্তমানে ৫০ জন ডেঙ্গি রোগীর চিকিৎসা চলছে।
ডেঙ্গি প্রতিরোধে ব্লু প্রিন্ট
অপরিকল্পিত দ্রুত নগরায়নের ফলে বাড়ছে ডেঙ্গি তা স্বীকার করে নিচ্ছে রাজ্য প্রশাসনও। চলতি মরসুমে আধা শহরগুলিতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে আধা শহরগুলিতে মশা বাহিত রোগ নির্মূল 🅰করে প্রতিরোধের পরিকাঠানমো নির্মাণেই জোর দিচ্ছ রাজ্য সরকার।
বিজ্ঞাসম্মত ভাবে জঞ্জাল অপসারণ, নিকাশি-সহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে পরিকাঠামো তৈরি এবং মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তো📖লার উপর জোরꦰ দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য পঞ্চায়েত দফতরের তরফে একটি কর্মশালারও আয়োজন করা হয়।