ডাইনি অপবাদে আদিবাসী মহিলাকে মারধরের অভিযোগ উঠল ডেবরায়। গ্রামবাসীদের চোখ এড়িয়ে ওই মহিলা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। এখনও আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে ওই মহিলাকে। সেই সঙ্গে তাঁর স্বামীও যথেষ্টই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।| পুলিশ সূত্রে খবর, পশ্চিম মেদিনীপুরে ডেবরায় লোয়াদা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা ওই আদিবাসী দম্পতি নিঃসন্তান ছিলেন। পেশায় দিন মজুর হলেও তাঁদের সম্বল ছিল এক টুকরো জমি। ৪ বছর আগে এই গ্রামে একটি গোরু মারা যায়। পরে আরও বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। গ্রামবাসীদের দাবি, এই ঘটনার পিছনে আদিবাসী ওই মহিলা দায়ী। মহিলার স্বামীর বক্তব্য অনুযায়ী, অনেকদিন ধরেই তাঁদের উক্ত্যক্ত করা হত। কিছু একটা যে ঘটতে চলেছে, তা অনেকদিন ধরেই তাঁরা আন্দাজ করতে পেরেছিলেন।গত বৃহস্পতিবার গ্রামে সালিশি সভা ডাকা হয়। সালিশি সভায় তাঁদের উপস্থিত থাকার কথা বলা হলেও তাঁরা সেখানে যাননি। রাতে তাঁদেরকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রামবাসীরা তাঁদের গ্রাম ছাড়ার নিদান দেন। এরপরই ওই মহিলাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। গত শনিবার রাতে ওই মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। মহিলা ও তাঁর স্বামীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। গোটা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু হয়েছে। যেভাবে দিনের পর দিন ধরে তাঁদের ওপর নির্যাতন হয়েছে, তাতে যথেষ্ট সন্ত্রস্ত মহিলার পরিবার। তাঁরা চান, যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাঁদের যাতে সাজা হয়। া হয়।