আজ, সোমবার আকাশ জুড়ে বিকট আওয়াজ নেমে আসছিল। আর তা শুনে অনেকে চমকে গেলেন। কেউ ভাবলেন গগনভেদী শব্দ মানে নিশ্চয়ই যুদ্ধ লাগল। আবার কেউ ভাবলেন তীব্র তাপপ্রবাহের পর বোধহয় মেঘগর্জন করে বৃষ্টি নামল। কিন্তু আকাশের দিকে তাকাতেই চক্ষু চড়কগাছ। কারণ একের পর এক যুদ্ধবিমান দ্র🦄ুতগতিতে উড়ে গেল। তেজস, রাফাল, সুখোই যুদ্ধবিমানের আওয়াজে কান পাতা দায় হয়ে উঠেছিল। আসলে ভারত–মার্কিন বায়ুসেনার যৌথ মহড়া চলছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুন্ডা সামরিক ঘাঁটিতে।
এদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুন্ডায় বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ‘কোপ ইন্ডিয়া ২০২৩’ উপলক্ষ্যে ভারত–মার্কিন মহড়ায় দেখা গেল একাধিক যুদ্ধবিমানকে। ভারতীয় বায়ুসেনার পক্ষ থেকে আজ মহড়ায় তেজস, রাফাল, জাগুয়ার, এসইউ–৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমান ছিল। আর আ꧙মেরিকার পꦏক্ষ থেকে এফ–১৫ এর মতো শক্তিশালী যুদ্ধবিমানকে আকাশে চক্কর কাটতে দেখা যায় বলে খবর। সামরিক সহযোগিতা এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া দৃঢ় করতে বহুদিন ধরেই বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া করে আসছে ভারত। এবার আমেরিকার সঙ্গে তা করল। আগেও একবার যৌথ মহড়া হয়েছিল আমেরিকার সঙ্গে।
কাদের কাছে বার্তা গেল? অন্যদিকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সরাসরি কাউকে বার্তা দেওয়ার কথা বলা হয়নি।ꦕ আমেরিকাও এমন কোনও বার্তা নিয়ে মুখ খোলেনি। তবে এই দ্বিপাক্ষিক যুদ্ধ মহড়ায় তারা ভারতের সঙ্গে নানা নতুন সামরিক কৌশল থেকে শুরু করে অত্যাধুনিক স൲মরাস্ত্রের ব্যবহার করেছে। চিন এখনও অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে ঝামেলা জিইয়ে রেখেছে। আর পাকিস্তানের অবস্থা এখন খারাপ। তাই এই যৌথ মহড়া একদিকে ভারত–আমেরিকার মজবুত সম্পর্কের বার্তা দিল। অন্যদিকে চিন–পাকিস্তান বুঝল ভারত এখন একা নয়। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই একাধিক চুক্তি হয়েছে। আর অত্য়াধুনিক যুদ্ধাস্ত্র ও যুদ্ধবিমান–সহ সশস্ত্র ড্রোন কিনতে আমেরিকার সঙ্গে কয়েক হাজার কোটি টাকার চুক্তি হয়েছে ভারতের।
আর কী জানা যাচ্ছে? ২০১৬ সালের জুন মাসে দেখা যায়, আমেরিকা ভারতকে তাদের প্রধান প্রতিরক্ষা অংশীদারের তকমা দেয়। এমনকী সম্প্রতি পেন্টাগন এবং নয়াদিল্লির মধ্যে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত একাধিক মউ সাক্ষরও হয়েছে। তারপর এই যৌথ মহড়া বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। বর্ধমানের পানাগড় এয়ারবেসে ১০ এপ্রিল থেকে সেনা মহড়া 🥀শুরু হয়েꦑছে। এবার আজ থেকে কলাইকুন্ডায় ভারত–আমেরিকা যৌথ সেনা মহড়া শুরু হল। তাতে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে চিনের আস্ফালন এবং জম্মু–কাশ্মীর সীমান্তে পাকিস্তানের বাড়াবাড়ির ক্ষেত্রে এই যৌথ মহড়া যোগ্য জবাব বলে মনে করা হচ্ছে।