লোকাল ট্রেনের চাকা গড়ানোর অনুমতি এখনও দেওয়া হল না। তবে আরও একদফায় করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল করল পশ্চিমবঙ্গ স𓆏রকার। যা আগামিকাল (১৭ অগস্ট) থেকে কার্যকর হবে বলে জানানো হবে।
নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, আগামিকাল (মঙ্গলবার) থেকে তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্র ও সেই সংক্রান্ত সহায়ক ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ কর্মী উপস্থিত থাকতে পারবেন। তবে কর্মীদের করোনাভাইরাস টিকা নিতে হবে। মেনে চলতে হবে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত যাবতীয় বিধি। একই নিয়ম প্রয়োজ্য হবে কারখানা এবং মিলের ক্ষেত্রে। পাশাপাশি ৫০ শতাংশ দর্শক নিয়ে আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ🍸 ইন্ডিয়ܫার অধীনস্থ স্মৃতিস্তম্ভ এবং বিনোদনমূলক পার্ক খোলা রাখা যাবে।
গত সপ্তাহেই একাধিক বিধিনিষেধ শিথিল করেছে রাজ্য সরকার। রাতে যে আট ঘণ্টা গতিবিধির উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল, তার সময়সীমা কমিয়ে দেওয়া হয়। রাত ১১ টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত সꩵেই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকছে। আজ (১৬ অগস্ট) থেকে যে নিয়ম কার্যকর হয়েছে। সেইসঙ্গে দোকান, রেস্তোরাঁ, পানশালা খোলার সময়সীমা বাড়ানো হয়।
তবে লোকাল ট্রেন চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়নি। সেই কারণও ব্যাখ্যা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এখনই লোকাল ট্রেন চালু হচ্ছে না। এখন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটা কম আছে। কিন্তু প্রতিষেধকের অভাব📖ে গ্রামের দিকে টিকাকরণ আশানুরূপ হয়নি। কলকাতা লাগোয়া উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়ার মতো জেলায় ৫০ শতাংশ টিকাকরণ হলেই লোকাল ট্রেন চালু করে দেওয়া হবে। কিছুটা সময় নেওয়া হচ্ছে। মমতা বলেন𓆉, ‘অনেকে আমায় প্রশ্ন করছেন, লোকাল ট্রেনটা চলছে না। টিকাটা আমি যতক্ষণ না গ্রামেগঞ্জে দিতে পারব, এর (করোনাভাইরাস) প্রকোপ তো বাড়বে। এখন থেকে তো নিয়ন্ত্রণে করতে হবে। আমি জানি মানুষের কষ্ট হচ্ছে।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘একটাই সমস্যা। সেপ্টেম্বরে একটা তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে। আমি জানি, মানুষের অভাব-অভিযোগ আছে। কিন্তু আপনার জীবনের থেকে বেশি কিছু দামি নয়। তাই আর কয়েকটা দিন আমাদের কষ্ট করতে হবে বন্ধু।’
মমতার বক্তব্য, লোকাল ট্রেন না চললেও মেট্রো, বাস এবং অন্যান্য গণপরিবহন চলছে। তাই ট্রেন চালিয়ে কোনও ঝুঁকি নেওয়া হচ্ছে না। কেন বাস এবং মেট্রোর মতো নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী নিয়ে ট্রেন চালানোর অনুমতি দেওয়া হচ্ছে, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘নিয়ম মেনে যেতে বললাম। কিন্তু দেখলাম গাদাগাদি করে๊ যাচ্ছে।’