রাজ্যে প্রায় সর্বত্র তৃণমূল নেতাদের হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। দুর্নীতির অভিযোগে যখন জেলে তৃণমূলের একের পর এক ন൩েতা - মন্ত্রী, তখন নিচুতলায় দুর্নীতির অভিযোগ কার্যত স্বীকারই করে নিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেন। শনিবার মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে এক কর্মিসভায় তিনি দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘একসম𒁏য় যাদের খাওয়া জুটত না তারা এখন দু’ - তিন তলা বাড়ি করেছে। তার মানে তাঁরা দু-নম্বরি করছে।’
রাজ্যে তৃণমূল নেতাদের আয় বহির্ভূত সম্পত্তি আর কোনও নতুন বিষয় নয়, কাউন্সিলর থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক, সবার বিরুদ্ধেই অভিযোগ একই। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি - সিবিআইয়ের নজরে রয়েছেন তৃণমূলের একাধিক কাউন্সিলর। জেলায় জেলায় তৃণমূল নেতাদের সম্পত্তি বৃদ্ধি নজর কেড়েছে আম আদমির। তা সে নন্দীগ্রা🌺মের শেখ সুফিয়ান হোক বা দমদমের দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, শিক্ষাগত যোগ্যতা আর আয়ের উৎসের সঙ্গে তাঁদের বাড়ির মাপ মেলাতে পারছেন না কেউই। এই নিয়ে নানা রকম অস্বস্তিকর প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে দলীয় নেতৃত্বকেও। লোকসভা ভোটের মুখে সেই অভিযোগেই হাটে হাড়ি ভাঙলেন পরিচ্ছন্ন ভাবম💮ূর্তির তৃণমূল নেতা বলে পরিচিত জাকির হোসেন।
শনিবার 𒆙জঙ্গিপুরের বিধায়ক বলেন, ‘এক সময় যারা দু’ বেলা ঠিক মতো খেতে পেতেন না। তারা এখন দু’ - তিন তলা বাড়ি বানাচ্ছেন। তার মানে তারা দু’ নম্বরি করেছে। আমি তাদের নামে অভিযোগ করব। প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেব।’ এমনকী তাঁকে বলতে শোনা যাꦏয়, যারা এখন মেম্বার হয়েছে, আমি না থাকলে তাদের অনেকে ১০০০ ভোটও পেত না। কারণ তারা মানুষকে শোষণ করে’।
জাকির হোসেনে𓂃র মন্তব্যকে হাতিয়ার করে তাঁকেই কটাক্ষ করেছেন বিজেপির সাংগঠনিক জেলার এক নেতা। তিনি বলেন, ‘যে দলের স𝓡াধারণ সম্পাদকের সম্পত্তি নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে সেখানে জাকির সাহেব কাউন্সিলরদের দুর্নীতি করা থেকে কী ভাবে রুখবেন? দুর্নীতিবাজ না হলে তৃণমূলের টিকিট পাওয়া যায় না, এটা সবাই জেনে গিয়েছে। উনি নিজেই কয়েকদিন আগে জঙ্গিপুরের পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে ৮ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিলেন। এখন আবার তাঁর সঙ্গেই ঘুরছেন। টাকা ফেললে তৃণমূলে সব সেটিং হয়ে যায়। ওনার নিজের বাড়িতে আয়কর হানায় লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। ওনার মুখে এসব কথা মানায় না। ওনার চুপ থাকাই ভালো।’