আজ জামাইষষ্ঠী। তাই শ্বশুরবাড়ি যেতে চান বহু জামাই। তার উপর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই উপলক্ষ্যে পূর্ণদিবস ছুটি ঘোষণা করেছেন। তাই সাতসকাল থেকে যাওয়ার ইচ্ছা প্রবল ছিল জামাইদের মনে। কিন্তু বিধি বাম। করোনাভাইরাসের জেরে রাজ্যে চলছে বিধিনিষেধ। তাই গণপরিবহণ বন্ধ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মধ্যপন্থা অবলম্বন করলেন জামাই এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন। মনে ক্ষোভ না রেখে এবার✨ ভার্চুয়াল জামাইষষ্ঠীর আয়োজন করা হল।
করোনাভাইরাস আর লকডাউন জামাইষষ্ঠীতে বাধ সাধল। তাই ভার্চুয়ালি জামাইকে দেওয়া হল জামাই ফোঁটা। কারণ এই পরিস্থিতিতে অনেকেই কর্মসূত্রে বিদেশে আছেন। যাঁ🥀রা এদেশে আসতে পারেননি। এই জামাইষষ্ঠীতে তারা ফিরতে পারছেন না। কারও নতুন বিয়ে হয়েছে এই বছরই। কিন্তু প্রথম জামাইষষ্ঠীতেই সমস্যায় পড়েছেন অনেক শাশুড়িরা। জামাইষষ্ঠীতে জামাইকে সরাসরি ফোঁটা দিতে পারছে না। তাই মুশকিল আসান꧟ হিসাবে ব্যবহার হল স্মার্টফোন। আর তাতেই দেওয়া হল দূরে থাকা জামাইকে ফোঁটা।
এই ঘটনা ঘটেছে চন্দ্রকোনার ক্ষীরপাই এলাকায়। এখানে কান্তা ঘোষ তাঁর একমাত্র মেয়ের ব🍎িয়ে দিয়েছে দু’বছর হল। গতবছর জামাই ছিল বিদেশে। লকডাউনের কারণে আসতে পারেনি। আর এই বছর জামাই কর্মসূত্রে সৌদি আরবে আছে। তাই জামাইকে ফোঁটা দিলেন ভিডিও কলের মাধ্যমে। তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে ভিডিও কলের মধ্য দিয়ে জামাইকে ফোঁটা দিয়ে খানিকটা স্বস্তি পেলাম।’ তবে জামাইষষ্ঠী ভার্চুয়ালি কার্যত প্রথম বলেই মনে করা হচ্ছে। এই বছর এমন করেই অনেকে পালন করলেন জামাইষষ্ঠী।